রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, ‘‘মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইন ২০০২-এর আওতায় স্থানান্তর করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।’’
গত বুধবার মিটফোর্ড হাসপাতালে সামনের ব্যস্ত সড়কে লাল চাঁদ সোহাগকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা ও শরীর থেঁতলে হত্যা করা হয়। পরে তাকে বিবস্ত্র করে মরদেহের ওপর লাফানো হয় বলে সিসিটিভি ফুটেজ, এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে।
ঘটনার পর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় নিহতের বোন ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করেছেন। পুলিশ ও র্যাব এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি কোতোয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক রজ্জব আলী পিন্টু ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবাহ করিম লাকি। এ ছাড়া চকবাজার থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব অপু দাস ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কালুকেও বহিষ্কার করেছে তাদের সংগঠন।
পুলিশ বলছে, হত্যার মূল কারণ চাঁদাবাজি। নিহত লাল চাঁদ একসময় যুবদলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।