টাঙ্গাইল পৌরসভা

মেয়র পলাতক। বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলরের নেতৃত্বে পরিচালনা পরিষদ

কাউন্সিলর মেহেদী হাসান আলীম টাঙ্গাইল পৌরসভা পরিচালনা পরিষদ প্রধান
কাউন্সিলর মেহেদী হাসান আলীম টাঙ্গাইল পৌরসভা পরিচালনা পরিষদ প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট।

এরপর থেকেই পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে যান।

ফলে পৌরসভার জরুরী সেবা কার্যক্রম চালু রাখতে কাউন্সিলর মেহেদী হাসান ওরফে আলীমকে প্রধান করে নয় সদস্য বিশিষ্ট পৌরসভা পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে বিএনপির দুইদিনের অবস্থান কর্মসূচী

মেহেদী হাসান ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং টাঙ্গাইল শহর বিএনপি’র সভাপতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে গণআন্দোলন চলাকালে পৌরসভা ভবনে হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর পৌরসভার মেয়র ও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম সিরাজুল হক ওরফে আলমগীর এবং বেশিরভাগ কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে যান।

ফলে পৌরসভার কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলন চলাকালে কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। গত ৭ আগস্ট তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলররা আত্মগোপনে থাকলেও বিএনপি সমর্থিত এবং দল নিরপেক্ষ কয়েকজন কাউন্সিলর গত রোববার থেকে পৌরসভায় আসতে শুরু করেন।

পৌরসভা সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে কোন কোন মেয়র, কাউন্সিলর পৌরসভায় অনুপস্থিত তা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়।

এরপর কয়েকজন কাউন্সিলর গোপনে পৌরসভায় এসে উপস্থিতির স্বাক্ষর করে গেছেন।

গত সোমবার জরুরী সেবা চালু করার লক্ষ্যে উপস্থিত কাউন্সিলর এবং পৌর কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওই সভায় ৯ সদস্য বিশিষ্ট পৌরসভা পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়।

এতে সদস্য সচিব করা হয়েছে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীনকে।

আরো পড়ুন – কর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছে এমপি-মন্ত্রী-নেতারা। অসহায় কর্মীদের ক্ষোভ

পরিষদের সদস্যরা হচ্ছেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে বাদশা, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রকি হায়দার, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল মিয়া, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর খালেদা আক্তার স্বপ্না ও সেলিনা আক্তার।

কেন পৌরসভা ভাঙচুর হলো?

স্থানীয় সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে পৌর ভবনে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা নিয়মিত অবস্থান করতেন।

সেখান সভা করেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এজন্য আন্দোলনকারীদের আক্রোশ ছিলো পৌর ভবনের ওপর। আর সেই আক্রোশেই পৌরসভা ভাঙচুর করে ছাত্ররা।

নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য –

পৌরসভা পরিচালনা পরিষদ গঠন প্রসঙ্গে পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন বলেন, ক্রান্তিকালে জরুরী সেবাসহ অন্যান্য কাজ যতটুকু চালানো যায় সেজন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।