নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদ এলাকায় বিশাল একটি কিশোর গ্যাং গঠন করেছে।
এই কিশোর গ্যাংএ অন্তত দুই শত সদস্য রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে এক সংবাদ সম্মেলনে।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে শনিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী মাহমুদা নামে এক নারী ওই অভিযোগ করেন।
মৌসুমী মাহমুদা কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদের চাচাতো ভাতিজি ও মোহাম্মদ আলী শাহজাদার মেয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী মাহমুদা পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদকে গ্রেফতার করায় পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি তাদের বাড়ি বিক্রি করতে না দেয়ার অভিযোগে মামলা করায়; কাউন্সিলর মোর্শেদের সহযোগী মুন্সি তারেক পটন, বাপ্পি, টুন্ডা রনি, রাফসান, অন্তর, সাদ্দাম গংরা তাকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।
কাউন্সিলর মোর্শেদ জামিনে এলে তাকে ও তার পরিবারের সবাইকে দেখে নিবে বলেও শাসাচ্ছে।
তিনি জানান, তাদের পরিবারের সদস্যরা কেউ বাইরে বের হতে পারছে না।
বাইরে বের হলেই কাউন্সিলর মোর্শেদের কিশোর গ্যাংয়ের মাদকাসক্ত সদস্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে পিছু ধাওয়া করে নানা রকম কুৎসিত মন্তব্য ছুঁড়ে দিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলর মোর্শেদের অপর সহযোগী রাফসানের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার তিশা অভিযোগ করেন, কাউন্সিলর মোর্শেদ তার স্বামী রাফসানকে দিয়ে নানা বেআইনী কাজ করান।
তিনি স্বামীর বেআইনী কাজে বাঁধা দেওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া করাসহ স্বামী পরিত্যক্তা করার পায়তারা করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা কাউন্সিলর আতিকুর রহমান মোর্শেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর মোর্শেদের অপর সহযোগী রাফসানের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার তিশাসহ তার দুই শিশু সন্তান ওমর ফারুক (৯) ও ফাতেমাতুজ জহুরা (৬) উপস্থিত ছিল।
উল্লেখ্য, কাউন্সিলর মোর্শেদ একটি নাইন এমএম ও একটি ৬.৬২ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি এবং দুইটি ম্যাগজিন বাড়িতে লুকিয়ে রাখার দায়ে গ্রেপ্তার হয়ে তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছে।
সম্পাদনা – অলক কুমার