নিজস্ব প্রতিবেদক : কোররবানির ঈদে ক্রেতাদের জিম্মি করে কয়েক গুণ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যুগনী ইজারাদারের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, নির্ধারিত টাকা দিতে চাইলে ক্রেতাদের সাথে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে ইজারাদারের পেটুয়া বাহিনীর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্রেতারা।
স্থানীয়রা জানান, যুগনীর হাটটি সদর উপজেলার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম হাট।
উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এ বছর ১৯ লাখ টাকায় মোস্তাফিজুর রহমান মোকছেদ ইজারা নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, মোকছেদ আবার আরিফ মিয়াসহ কয়েক জনের কাছে সাব ইজারা দিয়েছেন।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদ উপলক্ষে ক্রেতাদের জিম্মি করে গরু প্রতি এক থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ইজারা নিয়েছেন।
প্রতিবাদ করলে সাব ইজারাদার আরিফ মিয়াসহ তার পেটুয়া বাহিনীর সদস্যরা ক্রেতাদের সাথে খারাপ আচরণও করেন।
শহরের কোদালিয়া এলাকার আনিস মিয়া বলেন, দেড় লাখ টাকার ষাড়ে পনেরশ টাকা খাজনা নিয়েছে ইজারাদাররা।
প্রতিবাদ করায় ইজাদাররা খারাপ আচরণ করছে।
কাগমারা এলাকার সবুজ মিয়া বলেন, বাঘিল ইউনিয়নের নাম শুনলে ভয় লাগে।
কারণ এটা চরম পন্থীর এলাকা।
অন্য জনের ৯৫ হাজার টাকার ষাড়ে খাজনা নিয়েছে ৬০০ টাকা ও আমার এক লাখ পাঁচ হাজার টাকার ষাড়ে খাজনা নিয়েছে এক হাজার টাকা।
খাজনা কম নিতে বললে তারা দুর্ব্যবহার করেছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
ইজারাদার মোস্তাফিজুর রহমান মোকছেদ বলেন, প্রতি গরু ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা খাজনা নেয়ার কথা বেশি নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
তবে নিউজ না করে পরে দেখা করতে বলেন তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান-বিন- মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি নতুনে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।