বেল! দুই অক্ষরের এই ফলের উপকারিতা বিবেচনা করলে সর্বপ্রথম মাথায় আসবে একটি শব্দ ‘প্রশান্তি’। আর রমজান মাসতো শান্তির বার্তা নিয়েই আসে। রোজাদারকে সারাদিন রোজা রাখার পর প্রশান্তি এনে দিবে এই বেল। বাংলাদেশে এই ফলটি বেশ জনপ্রিয়। বিশেষকরে, গরমে ঠান্ডা এক গ্লাস বেলের শরবত এক কথায় অতুলনীয়। যেহেতু, রমজান মাস দরজায় কড়া নাড়ছে, তাই, প্রচলিত ভাজাপোড়া খাবার না খেয়ে বাসায় তৈরি করা বেলের শরবত যেকোনো বয়সী মানুষের জন্য বেশ উপকারি।
বেলে রয়েছে হাজারও পুষ্টিগুণ। বেলে আছে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ইত্যাদি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এই ফল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বেলে আছে ফেনোলিক কম্পাউন্ড, যা মূলত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এটি শরীরের ফ্রি-রেডিকেল দূর করে এবং বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।কাঁচা বেল সেদ্ধ করে শরবত বানিয়ে বা পাকা বেলের শরবত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো হয়। বেলের ফাইবার খাবার দ্রুত হজম করতে সাহা য্য করে। এতে হজমশক্তির উন্নতি হয়।
পাকা বেলে রয়েছে আলসার উপশমকারী উপাদান। যাদের এ সমস্যা আছে তারা বেলের শরবত খেলে উপকৃত হবেন। যাদের পাইলস, এনাল ফিস্টুলা ইত্যাদি মলদ্বারের রোগ আছে তাদের জন্য বেল ভীষণ উপকারী। পাকা বেলে রয়েছে মেথানল নামক উপাদান যা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বেলের শরবত খেলে ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া পাকা বেল রক্ত শুদ্ধ করতে সাহায্য করে। তবে কোন কিছুই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভালো নয়। বেল শরীরের জন্য উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। বেল খাওয়ার পরিমাণ অতিরিক্ত হলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।