নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক সাংবাদিকের মায়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার বা আটক হয়নি।
এই ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট।
তারা কয়েকটি বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করেছে।
এর মধ্যে পারিবারিক বিরোধের বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে খাটের নিচ থেকে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
এছাড়া স্থানীয় মাদকাসক্তদের দিকেও নজর রেখেও পুলিশ তদন্ত করছে।
আর র্যাব জানিয়েছে তাদের আরো গভীরের তদন্তের কথা।
ভূঞাপুরে গত শুক্রবার ভোরে দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর বার্তা সম্পাদক আবু সায়েম আকন্দের মা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহিম আকন্দের স্ত্রী সুলতানা সুরাইয়ার (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই নারী বাড়িতে একাই থাকতেন। তার ছেলে ঢাকায় থাকেন। দুই মেয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা সুলতানা সুরাইয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পান।
পরে তারা ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা বাইরে থেকে তালা দেওয়া দেখতে পান।
কিন্তু ভেতরে বাতি জ¦লছে এবং বৈদ্যুতিক পাখা চলার শব্দ পান।
পরে খবর দিলে পুলিশ রাত ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। ভোরে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাংবাদিক আবু সায়েম আকন্দ বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে ভূঞাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করা হয়।
আরো পড়ুন – বড়মনি আমাকে ফ্ল্যাট, টাকা দিতে চান, আমি সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুম্মন খান জানান, দুটি বিষয়কে সামনে রেখে তারা তদন্ত শুরু করেছেন।
মামলার বাদি আশঙ্কা করছেন, স্থানীয় মাদকাসক্তরা তার মায়ের বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।
তবে পারিবারিক কিছু বিরোধের তথ্যও তারা পেয়েছেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, এই দুই বিষয়কে সামনে নিয়ে তদন্ত কাজ চলছে। নিহতের মুঠোফোনের আলাপনের তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে র্যাব-১৪, সিপিস-৩, টাঙ্গাইল কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের জানান, আমরা এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে কাজ করছি।