টাঙ্গাইল সংবাদদাতা : ‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে এক সমঝোতা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, লালন স্মরণোৎসব হবে। হেফাজতে ইসলাম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা কোনো বাঁধার সৃষ্টি করবে না। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, কোনো ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া হবে না এবং বিতর্কিত সংগীত পরিবেশন করা হবে না।’ সভা শেষে উৎসব কমিটির আহবায়ক সবুজ মিয়া এসব কথা বলেন। ‘জনভোগান্তি এড়াতে মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের পরিবর্তে মধুপুর অডিটোরিয়ামে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে,’ বলেন তিনি।
আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মধুপুর অডিটোরিয়ামে লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে মধুপুর লালন সংঘ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উৎসব আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও স্থানীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সবুজ মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ফকির লালন সাঁইজির ১৩৪তম তিরোধান বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গত ১২ ফেব্রæয়ারি অনুষ্ঠেয় লালন স্মরণোৎসব হেফাজতে ইসলামের আপত্তির মুখে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আপত্তি জানিয়েছিল কওমি ওলামা পরিষদও।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জুবায়ের হোসেন, মধুপুর সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শোয়েব, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেন সরকার, মধুপুর লালন সংঘের সভাপতি ফরহাদ হোসেন তরফদার, সাধারণ সম্পাদক গৌতম চন্দ্র সাহা, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মো. সবুজ মিয়া, উপজেলা হেফাজতের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদউল্লাহসহ অনেকে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘কিছু ভুল বোঝাবুঝির কারণে অনুষ্ঠানটি স্থগিত হয়েছিল। পরিবর্তিত তারিখ ও ভেন্যুতে স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।’