অলক কুমার : টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর শিহাব হত্যা মামলার নথি সিআইডিতে হন্তান্তর করা হয়েছে।
মামলাটি সিআইডি’তে স্থানান্তর করার ৪০ দিন পর মামলার নথি হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট (রোববার) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।
অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি) টাঙ্গাইল শাখার একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরো পড়ুন – করটিয়া হাটের ভিটি বরাদ্দে দুর্নীতি পেয়েছে দুদক
জানা যায় গত, বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২১ জুলাই পুলিশ সদর মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করে।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) ও শিহাব হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গতকাল (২৯ আগস্ট) রাতে সিআইডির আদিস্ট তদন্ত কর্মকর্তার কাছে মামলার নথি হস্তান্তর করেছি।
শিহাব হত্যা মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর আরিফ ফয়সাল জানান, আমি গত ২৮ আগস্ট (রোববার) মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছি; ২৯ আগস্ট মামলার নথি আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
নিহত শিহাবের বাবা প্রবাসী ইলিয়াস হোসেন বলেন, সৃষ্টির রিপনকে বাঁচাতে মামলাটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
ঘটনাক্রম –
চলতি বছরের ২০ জুন টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকার সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের ছাত্রাবাসের সাত তলার বাথরুম থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন – ১৫ দিনের মধ্যে সেই রিসোর্টের গেইট সরানোর নির্দেশ!
এ ঘটনায় প্রথমে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়; পরে ২৬ জুন ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
২৭ জুন শিহাবের মা আসমা আক্তার বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
নিহত শিহাব মিয়া টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের বেড়বাড়ি গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের ছেলে।
সে ছাত্রাবাসে থেকে পড়াশোনা করতো। এ মামলার আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক নামক এক শিক্ষককে প্রথমে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর গত বুধবার (১০ আগষ্ট) হত্যা মামলার আসামি চার শিক্ষক আত্মসমর্পণের পর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার
আত্মসমর্পণকারীরা হলেন- বিপ্লব চন্দ্র সরকার (৩০), আসলাম হোসেন আশরাফ (৩০), মাসুম মাসুদ রানা (৪০) ও বিজন কুমার সাহা (৪০)।