সংবাদ প্রকাশের জের ধরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মানবজমিন প্রতিনিধি এ,বি,এম আতিকুর রহমানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিককে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত সাড়ে নযটার দিকে ঘাটাইল উইজডম ভ্যালি স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত সাংবাদিক আতিক জানান, গত ১৮ মার্চ বিএনপির ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ নেতা! সমালোচানর ঝড়” শীর্ষক সংবাদ মানবজমিন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। এ বিষয়ে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট ওবায়দুল হক নাসিরের কাছে মুঠোফোনে বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে বেশি খোঁচাখুঁচি ও বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেন। সংবাদ প্রকাশিত হলে চাপ আসবে বলেও হুমকি প্রদান করেন মানব জমিনের ঘাটাইল প্রতিনিধিকে। ১৮ মার্চ মানব জমিনে অনলাইন পোর্টালে সংবাদাটি প্রকাশিত হলে ঘাটাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট ঘাটাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র আব্দুর রশিদ মিয়া ও ঘাটাইল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেলালুর রহমান হেলাল সংবাদ প্রকাশের কারণে উক্ত প্রতিনিধির বিচার দাবি করেন। সভাপতি কামাল হোসেন উক্ত বিষয়টি আমলে নিয়ে আলোচনার জন্য রাত সাড়ে আটটার দিকে তার উইজডম ভ্যালি স্কুলে মানবজমিন প্রতিনিধি এ বি এম আতিকুর রহমানকে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়া ডেকে আনেন। ঘাটাইল বংশাই গেস্ট হাউজে আসলে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চা পান করতে দেয়।
কখন হামলা চালানো হয়? –
চা খাওয়া শেষ হতে না হতেই মানবজমিন টাঙ্গাইল প্রতিনিধি আতিকুর রহমান এসে চা চক্রে যোগ দেন। কিছুক্ষণ পরেই নাসির গ্রুপের ৭ থেকে ৮ জন ছাত্রদলের কর্মী বংশাই গেস্ট হাউজে প্রবেশ করেন। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে এবিএম আতিকুর রহমানকে সাথে নিয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল হোসেনের উইজডম ভ্যালি স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। নিউজের বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়। পরবর্তীতে মানবজমিন প্রতিনিধি এবিএম আতিকুর রহমান বাসার উদ্দেশ্যে স্কুল থেকে বের হলে স্কুল গেটেই তাকে আটকিয়ে আগে থেকে উৎপেতে থাকা ছাত্রদলের কর্মীরা চার দিক থেকে ঘিরে ফেলে এলোপাতালি কিল ঘুসি মারতে থাকে। স্কুলের সামনে বিদ্যুতের লাইট থাকায় মারতে মারতে অন্ধকারে নিয়ে যায়। অন্ধকারে নিয়ে তারা লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। সন্ত্রাসীরা কেন রশিদ চেয়ারম্যান ও নাসিরের বিরুদ্ধে নিউজ করেছি জানতে চায়। ডাক চিৎকারের শব্দ শুনে মসজিদের মুসল্লিারা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে।
হামলার পর –
স্থানীয়রা তাকে ঘাটাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাঈনুল ইসলাম ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন ধলা এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি রকিবুলের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি কল রিসিভ করেনি। তবে এসআই আজহারুল ইসলাম আহত আতিককে হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নেন।