নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ইসমাইল হোসেন (৬০) উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা সিন্দুরিয়া পাড়ার মৃত খোরশেদ আলম ওরফে খুরছু মিয়ার ছেলে।
রবিবার (১৪ মে) সকালে সিন্দুরিয়াপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জমি নিয়ে বিরোধের সূত্র ধরে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় আরো একজন গুরুতর আহত হয়েছে।
আরো পড়ুন – সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর স্মৃতি বিনষ্টের প্রতিবাদে মানববন্ধন
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গুলির শব্দ ও প্রতিপক্ষের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনার কথা জানালেও পুলিশ বলছে, সুরতহালের রিপোর্টে মৃত ব্যক্তির কপালের মাঝখানে আঘাতের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এই ঘটনায় সন্দেহমূলকভাবে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, সিন্দুরিয়াপাড়া এলাকার আবু সুফিয়ানদের সঙ্গে ৪ একর জমি নিয়ে স্থানীয় আজিজুল মোল্লা (৫০), তোফাজ্জল মোল্লার (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
প্রায় পাঁচ বছর আগে ইসমাইল হোসেন ওই বিরোধপূর্ণ জমি থেকে এক একর জমি কিনে ধান চাষ করছিলেন।
রোববার সকালে আজিজুল মোল্লা, তোফাজ্জল মোল্লা, সাইফুল মোল্লা, রফিকুল ওরফে ঘুনাই, আব্দুল করিম ও রিপনসহ ২০-২৫ জন ওই জমির ধান কাটতে যান।
এ সময় ইসমাইল হোসেন তাঁর পক্ষের লোকজন ডেকে এনে ধান কাটতে বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে ইসমাইল হোসেন ও ধলু মিয়া মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথেই ইসমাইল হোসেন মারা যান।
নিহতের ছেলে জানান –
ইসমাইলের ছেলে রাসেল মিয়া জানান, ওই জমি ক্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে ধান চাষ করছি; হঠাৎ এ বছর তারা আমাদের ধান কেটে নিচ্ছিল।
এতো তুচ্ছ ঘটনায় আমার বাবাকে মেরে ফেলা হলো। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আরো পড়ুন – “আর কত বয়স হলে ভাতার কার্ড পাব আমি”
স্থানীয় চেয়ারম্যানের কথা –
বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মোক্তা বলেন, জমি নিয়ে আগেও বেশ কয়েকবার সালিশি বৈঠক হয়েছে।
কিন্তু কোনো পক্ষই মীমাংসায় আসতে পারেনি। জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় মামলা করতে পারতো।
কিন্তু এভাবে কাউকে হত্যা করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
ওসির বক্তব্য –
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, নিহত ব্যক্তির কপালের মাঝখানে ক্ষত চিহ্ন হয়েছে।
কোন কিছুর আঘাতে হয়ত এমন ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টে গুলি ও আঘাতের চিহ্ন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষা শেষে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা। এঘটনায় এখনও কোন অভিযোগ পায়নি।
ঘটনার পরপরই সন্দেহমূলকভাবে একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার