কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার নিয়োগে ক্রয় প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
বুধবার কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের বাইরে থাকায় ভার্চুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এক হাজার ৮৬৮ কোটি ৫২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারির কাজের জন্য চায়নার সিআরসি কোম্পানিকে সুপারিশ করা হয়েছে।”
কক্সবাজারকে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করে পর্যটকদের আকষর্ণের স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের ফাউন্ডেশনের স্টিল পাইলের পরিবর্তে বোর্ড পাইলের ব্যবহারের ভেরিয়েশন বা কার্যবিধি পরিবর্তনে সভায় প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। এতে করে দাম কমে যাবে তাই বলা হয়েছে।
“এটি অনুমোদনের প্রয়োজন নেই, মন্ত্রণালয় নিজেই করে নিতে পারবে।”
এছাড়া নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের দুটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয় সভায়।
কৃষিমন্ত্রী জানান, ‘মাতারবাড়ি পোর্ট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের অংশে কনসালটেন্সি সার্ভিস ফর ডিটেল ডিজাইন, ট্রেড অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন সুপারভিশন কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
“এ কাজে ৪৬৬ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৯ টাকা ব্যয় হবে। জাপানের মুল কোম্পানি ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল কোম্পানির সাথে নকশার উন্নয়নে কাজ করবে স্থানীয় কোস্পানি ডিসিএলএসএ৷ সাব কন্টাক্টে রয়েছে মিশসি ইন্টারন্যাশনাল লিমিটিড এবং পিডিও কোম্পানি লিমিটেড।”
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘১৯.৫ লাখ গ্রাহক সংযোগের সংস্থানসহ ১ম সংশোধন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সাব স্টেশন নির্মাণ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। পল্লী বিদ্যুতের রুটিন কাজে গ্রাহক সেবা বাড়াতে একটি সংশোধিত প্রকল্পের ৫১ কোটি ৫০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজটি পেয়েছে এনার্জি প্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘শতভাগ পল্লীবিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট) ১ম সংশোধন’ শীর্ষক প্রকল্পের দুই লটে-লট-৪ ও লট-৫ এর আওতায় কন্ডাক্টর, এসিএসআর, বার, কন্ডাক্টর ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
৮২ কোটি ৯৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে কাজটি পেয়েছে পলিক্যাবল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড ও পার্টেক্স ক্যাবল লিমিটেড ।