“রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত” শীর্ষক একটি সংবাদ স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনির। এর পর ঐ ছাত্র তানভীর রহমান ইমনের লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সাংসদ ছোট মনির।
জানা যায়, প্রকাশিত সংবাদটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার হওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেটি সাংসদের নজরে পরে এবং সেখানে তিনি একটি কমেন্ট করেন। তারপরের ঘটনা খুব দ্রুত ঘটতে থাকে। ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই সাংসদ ছোট মনির স্বশরীরে ইমন ও তার পরিবারের সাথে দেখা করে তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন।
আরো জানা যায়, চা বিক্রেতা বাবা লুৎফর রহমান তোতা ও মা রানু বেগমের দুই সন্তানের মধ্যে ইমন ছোট। তার বড় বোন। ইমন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বি’ ইউনিটে ৩৯১ তম স্থান অধিকার করলেও অর্থাভাবে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিলো।
শিক্ষানুরাগী এই সাংসদ ইমনকে নগদ দশ হাজার টাকা হাতে দিয়ে জানান, দরিদ্র ও মেধাবী ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও প্রতিবছর তার বইপত্র কেনাসহ একাডেমিক বিভিন্ন খরচ রয়েছে। এ সব খরচ মেটানোর জন্য ভর্তির পর ছেলেটিকে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সেই অ্যাকাউন্টেই ছেলেটির শিক্ষাখাতের সব খরচ পাঠিয়ে দেয়া হবে।
এত দ্রুত সময়ে কোন প্রকার দুর্ভোগ পোহানো ছাড়াই এমপি মহোদয়ের সাথে দেখা করতে পেরে ইমন আবেগী হয়ে যায় এবং অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন। তার দুঃসময়ে যারা এগিয়ে এসেছেন, যারা তার লেখাপড়ার জন্য খরচ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
সাংসদ ছোট মনির বলেন, ইমন ভালোভাবে পড়াশোনা করবে এবং বড় হয়ে অবশ্যই বাবা-মা ও সমাজের গরীব মানুষ’কে ভালোবাসবে, এটাই আমার চাওয়া।