গোপালপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে স্বামীকে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ায়ে অচেতন করে পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিখন্ডিত করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবারে রাতে উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অর্ধেক পুরুষাঙ্গ নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে স্বামী হায়দার আলী।
আরো পড়ুন – নিজ আসনের দলীয় অখন্ডতা ধরে রাখতে পারেন নি কৃষিমন্ত্রী
হামিদা বেগম উপজেলার নগদা শিমলা ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলডগা গ্রামের হায়দার আলীর প্রথম স্ত্রী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক সন্তানের জনক হায়দার আলী শিক্ষকতা ও ইমামতি পেশা ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় রেলওয়েতে চাকুরী নেন।
সেখানে তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে গোপন করে দ্বিতীয় বিয়ে ও সন্তান নিয়ে সংসার করার অভিযোগ রয়েছে।
এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সাথে পারিবারিক কলহ দীর্ঘদিন ধরে।
শুক্রবার বিকালে হায়দার আলী ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসেন। রাতে প্রথম স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়।
আরও জানা যায়, ঘুমানোর আগে হামিদা বেগম স্বামীকে পানির সাথে মিশিয়ে ঘুমের ঔষুধ খাওয়ায়। এতে স্বামী অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরে কোন এক সময় গোপনাঙ্গের মাঝামাঝি অংশে ব্লেড দিয়ে কেটে দ্বিখন্ডিত করে সন্তান রেখে পালিয়ে যায় স্ত্রী।
সকালে ঘটনা জানাজানি হলে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে হায়দার আলীকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আরো পড়ুন – বড় মনির নন, তাহলে কে এই শিশুটির পিতা?
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী জানান, হায়দার আলীর গোপনাঙ্গ কাটা অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ার কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ জানান, এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামিদার মা ও ভাইকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।