বাসাইলে সরকারের উন্নয়নমূলক সভায় হামলা, অর্থায়নে বিএনপি নেতা বাদল

বাসাইলে সরকারের উন্নয়নমূলক সভায় আ'লীগের হামলা

বাসাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের বাসাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলামের আয়োজনে সরকারের উন্নয়নমূলক শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সভাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে প্রস্তুতি সভাকে ঘিরে এ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, বাসাইল উপজেলার কাশিলের বালুখেকো বিএনপি নেতা কাজী বাদল এই হামলায় অংশগ্রহণকারীদের অর্থ প্রদান করেন।

সূত্রটি আরো জানায়, কাজী বাদল টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাংসদের আস্থাভাজন হয়ে থাকার জন্য এই অর্থ বিনিয়োগ করেছেন।

কারণ কাজী অলিদ এমপি জোহায়ের বিরোধী হওয়ায় তিনি এই বিনিয়োগ করেছেন।

কাজী বাদল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের সহোদর।

জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সরকারের ১৫ বছরের উন্নয়নমূলক শোভাযাত্রার প্রস্তুতি সভা আহবান করেন।

এক পর্যায়ে সভা শুরুর পূর্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাজিকের নেতৃত্বে একটি মিছিল উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

এক পর্যায়ে প্রস্তুতি সভার আয়োজনে ব্যবহৃত কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উন্নয়ন প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় সাবেক এমপি অনুপম শাহজাহান জয় অংশ নেন।

নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বক্তব্য –

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মতিয়ার রহমান গাউস বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ বিএনপি-জামায়াতের লোকজন নিয়ে সরকার বিরোধী কর্মকান্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

খবর পেয়ে আমরা তা প্রতিহত করেছি।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, আমাদের সভা শুরুর দেড় ঘণ্টা পূর্বে সভাপতি মতিয়ার রহমান গাউস ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাজিকের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা বাদলের লোকজন ১০-১৫টি চেয়ার ভাংচুর করে।

এ সময় আমাদের লোকজন উপস্থিত হলে তারা চলে যায়। পরে আমরা যথারীতি প্রস্তুতি সভা করেছি।

বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল আমিন বলেন, দু’গ্রুপের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি।

এর পূর্বে কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে বলে শুনেছি।