টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল অফিসারকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা কালচারাল কর্মকর্তা খন্দকার রেদওয়ানা ইসলামকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের একটি ভিআইপি কেবিন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের স্বামীর নাম দেলোয়ার হোসেন মিজান। তিনি সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ভোলা ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তবে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এই ঘটনায় টাঙ্গাইলের সাংস্কৃতিক কর্মীরা ক্ষোভ ও খুনীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানান।

মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দীপংকর ঘোষ জানান, রেদওয়ানা প্রসব ব্যথার জন্য গত ২২ মার্চ মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি হন।

ওইদিন সে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এরপর থেকে কন্যা সন্তানটি আইসিওতে (নিবিড় পরিচর্যা ইউনিট) রাখা হয়।

গত চারদিন আগে রেদওয়ানা ইসলামকে চিকিৎসকরা ছুটি দিয়ে দেন।

কিন্তু জন্ম নেয়া মেয়ে হাসপাতালে থাকার কারণে রেদওয়ানা হাসপাতালেই একটি ভিআইপি কক্ষ নিয়ে থেকে যান।

শনিবার সকালে তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন মিজান আসেন হাসপাতালে রেদওয়ানার সাথে দেখা করতে।

বিকেলে হাসপাতালের নার্স অনুরাধা রেদওয়ানার কক্ষ বাইরে থেকে তালাবন্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়।

পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কক্ষের ডুব্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে রেদওয়ানার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়া হয়।

পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তাকে তার স্বামী শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আসছেন। সে এলে পৌঁছালে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার