টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার গড়াসিন গ্রামের গৃহবধূ ছালেহা আক্তার হত্যা মামলার বিচারিক কার্য শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আসামী পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে বাদি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশুলী (পিপি) নাসিমুল আক্তার ও হাইকোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশীদ। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন রফিকুল ইসলাম আলো ও এম গোলাম মোস্তফা মিয়া।
এসময় আসামী আশরাফুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি আছিয়া বেগম ও প্রতিবেশি ইয়াকুব উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালের ১৩ মে তার মেয়ে ছালেহা আক্তারকে দেলদুয়ার উপজেলার গড়াসিন গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ওরফে আব্দুস ছাত্তারের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে আশরাফুলকে ফ্রিজ, খাট, টেলিভিশন ও গহনা দেয়া হয়। তার কিছুদিন পর আশরাফুল বিদেশ যাওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। এ নিয়ে মাঝে-মধ্যেই ছালেহা আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১২ সালের ১৮ আগস্ট ভোরের দিকে ছালেহাকে তার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন হত্যা করে। তিনি একইদিন মেয়ের স্বামী আশরাফুল ইসলাম, শ্বাশুড়ি আছিয়া বেগম ও প্রতিবেশি ইয়াকুবকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তার করলেও বর্তমানে তারা জামিনে রয়েছেন।
এদিকে আব্দুস ছামাদ অভিযোগ করেন, আসামীরা বাইরে থেকে আপোষ মীমাংসা করার জন্য তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করছে। আসামীরা সাফাই সাক্ষি হাজির করে মামলা ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।