নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মুজিবর রহমান নামের এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকের বাড়ি স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী ভিক্ষুক মজিবর রহমান উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের রসুলপুর বনগ্রামের মৃত সোহরাব আলীর পুত্র।
প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক মজিবর রহমান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পঙ্গু ভিক্ষুক মজিবর রহমান হাট বাজারে ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিজন নিয়ে কোন রকমে দিনাতিপাত করে আসছেন।
রসুলপুর বনগ্রাম মৌজায় ৫২ নং দাগে ৩১ শতাংশ ভূমি তার শশুর কর্তৃক প্রাপ্ত হন। এর পর ঘর বাড়ি উত্তোলন করে প্রায় ৫০ বছর ধরে নির্বিবাদে ভোগ দখল করে আসছেন।
সর্বশেষ জরিপে উক্ত ভূমি সরকারি খাষ খতিয়ান ভুক্ত হয়। ওই ভূমিতে মজিবর রহমান বসতভিটা নির্মাণ করে বসবাস করতে থাকেন।
ওই অবস্থায় অতি গোপনে স্থানীয় প্রভাবশালী আ: জলিল মিয়া ও পতিজান বেগম বন্দোবস্ত নেয়; এর পর থেকেই তারা ভিক্ষুক মজিবরকে অনবরত হুমকি দিয়ে আসছে।
ভিক্ষুক মজিবর বলেন, আমার জন্ম এই বাড়িতেই, আমি একজন ভূমিহীন এবং প্রতিবন্ধি পরিবারের সদস্য নিয়ে প্রায় ৫০ বছর যাবৎ বসবাস করছি।
জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন হাটে হাটে ঘুরে বেড়াই এই সুযোগে আ. জলিল ও পতিজান বেগম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিজ গ্রহণ করেছে।
লিজ বাতিলের জন্য টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক বরাবর পৃথক দুটি আবেদন করেছেন ভিক্ষুক মজিবর।
প্রতিবেশী তারাভানু, আঃ মতিন ও রফিক মিয়া জানান, আমাদের জন্মের আগে থেকেই ভিক্ষুক মজিবর এখানে বসবাস করছেন।
কিভাবে আ. জলিল ও পতিজান বন্দোবস্ত পেল তা আমাদেন বোধগম্য না।
এ ব্যাপারে লিজ গ্রহিতা জলিলের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
অপর লিজ গ্রহিতা পতিজানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার ছেলে হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সরকার লিজ দিছে আমরা নিছি। যে ভাবে পারছি সে ভাবেই নিছি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত-ই-জাহান বলেন, অভিযোগের সুষ্ঠতদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার