নাগরপুর প্রতিনিধি : গৃহবধুকে যৌন হয়রানির অভিযোগে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ আলীর (৪৫) অপসারণ ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
সোমবার সকালে পচাসারটিয়া মেহের আলী খান স্কুল মোড়ে সচেতন শিক্ষার্থী, যুব সমাজ ও গ্রামবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এর আগে চৌবাড়িয়া পাচাসারটিয়া বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে তারা স্কুল মোড়ে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা চরিত্রহীন লম্পট শিক্ষক ফরহাদ আলীকে অবিলম্বে অপসারণ ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানানো হয়।
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মো. উজ্জল হোসেন, মো. জুয়েল সিকদার, মো. নাছির হোসেন, মো. নাজমুল খান, মো. জাকির হোসেন, মো. আমানুল্লাহ, মো. সবুজ মিয়া ও শওকত হোসেন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে পচাসারটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ডা. তাহেরুল ইসলাম খান বলেন, বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর আমাদের নজরে আসে।
যদিও বিষয়টি তার ব্যক্তিগত। নিয়ম অনুযায়ী যা যা করুনীয় আমাদের দায়িত্ব থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের যে নীতিমালা আছে; সে যদি অপরাধী হয় নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত: উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের ভারড়া গ্রামের হতদরিদ্র কাঠ মিস্ত্রী আ. মোতালেবের স্ত্রী (৩৭)কে চাকুরী দেয়ার সূত্র ধরে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হন প্রধান শিক্ষক মো.ফরহাদ আলী।
ওই নারীর দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ফোনে ও সরাসরি প্রতিনিয়ত শারীরিক মিলনের জন্য কু-প্রস্তাব দিতে শুরু করে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী গত ০৯ নভেম্বর টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করা হয়; মামলা নং ২১৫/২০২০।
মামলাটি বিজ্ঞ আদালত সুষ্ঠু তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি-দক্ষিণ) নির্দেশ দেন।
এরপর থেকে ঐ শিক্ষকের বিচার ও শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেন এলাকাবাসী। সম্পাদনা – অলক কুমার