নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে বহুল আলোচিত স্কুল ছাত্র শিহাব হত্যা মামলায় আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি আরো জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে নিহত শিহাবের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ ইচ্ছা করেই অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না; সৃষ্টির কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাই আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে না।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ট্রেনের ধাক্কায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর প্রকৌশলী নিহত
অন্যদিকে পাঁচদিন রিমান্ড শেষে শিক্ষক আবু বকরকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। পরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুজিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামছুল আলম তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শিহাবের বাবা ইলিয়াস হোসেন বলেন, পুলিশ সৃষ্টির রিপনের কাছে বিক্রি হয়ে গেছে, তাই আর কোন আসামি গ্রেপ্তার হয় নাই।
রিপনের এই লাশ কিনতে হবে, কিন্তু আমি আমার ছেলের লাশ বিক্রি করবো না। কারণ রিপনের দুর্নীতি ঢাকতে এই লাশ দরকার।
ঘটনাক্রম –
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন শহরের সুপারি বাগান এলাকায় সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক ভবনের সাত তলা থেকে শিহাব মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন – ‘চেয়ারম্যান টেহা নিলো, ঘর তো দিলো না!’
শুরু থেকেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগ তুলে আসছিল তার পরিবার। পরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
এঘটনার প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে।
ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানা যায় শিহাবকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা যায়। ওই দিন বিকেলে র্যাব সাতজন শিক্ষক ও পুলিশ দুইজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পরে র্যাব তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কোনও তথ্য না পাওয়ায় তাদের সাতজনকে ছেড়ে দেয়।
পরে ২৭ জুন নিহত শিহাবের মা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় ৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- সৃষ্টি একাডেমিক স্কুলের আবাসিক শিক্ষক আবু বক্কর, বিপ্লব, আশরাফ, মাসুদ, মতিন ও বিজন।
আরো পড়ুন – সখীপুরে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ, দুই সহযোগী গ্রেপ্তার
পুলিশ মামলার আগে শিক্ষক নাসির ও আবু বক্করকে আটক করলেও মামলায় নাসিরের নাম না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার