নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা থেকে বের হওয়ার পর সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত সিকদারের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শওকত সিকদার এই হামলার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের অনুসারীদের দায়ী করেছেন।
আরো পড়ুন – সমর্থনকারী ভোটারকে আটকে রেখে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ ঠান্ডুর
দলীয় সূত্র জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ বুধবার বর্ধিত সভার আয়োজন করে।
এতে বিভিন্ন আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তরা, জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন।
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, সভা চলাকালে সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শওকত সিকদার বক্তৃতাকালে দলের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম তাকে ধমক দিয়ে বসতে বলেন।
এসময় দুই জনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।
সভা শেষে বের হয়ে শওকত সিকদার তার জীপ গাড়িতে উঠার সময় একদল যুবক তার দিকে ধেয়ে আসেন।
এসময় শওকত সিকদার গাড়িতে উঠে দরজা বন্ধ করে দেন।
ওই যুবকরা তখন গাড়িতে এলোপাথারি লাথি ও হাত দিয়ে আঘাত করেন এবং গালাগালি করেন। পরে গাড়িটি দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।
হামলার শিকার শওকত সিকদার বলেন –
এ হামলা প্রসঙ্গে শওকত সিকদার বলেন, সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের অনুসারীরা তার গাড়িতে হামলা করেছে।
হামলার বিষয়টি তিনি দলের নেতাদের জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন – সিদ্দিকী পরিবারের তিন ভাই তিন আসনে শক্ত প্রতিপক্ষ
এসময় তিনি দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের অনুসারী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হাসান ও তার বাহিনী তার ওপর হামলা চালায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য –
জোয়াহেরুল ইসলাম জানান, শওকত সিকদারের গাড়িতে হামলা হয়নি। তবে বিচ্ছিন্নভাবে গাড়িতে দুই চারটা থাপ্পর দিয়েছে বলে শুনেছেন।
এ ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করবেন না বলে জানান। তবে তিনি অনুসন্ধান করছেন কারা এটা করেছেন।
প্রসঙ্গত, জোয়াহেরুল ইসলাম টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের সংসদ সদস্য।
এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি।
এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহান জয়।
শওকত সিকদার অনুপম শাহজাহানের পক্ষের নেতা হিসেবে পরিচিত।