কালিহাতী প্রতিনিধি : গত ৫ আগষ্ট কালিহাতি উপজেলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কালিহাতি উপজেলার সমন্বয়ক দাবী করা তারেক রহমানের উপর হামলার অভিযোগ তোলা হয়েছে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শুকুর মাহমুদের বিরুদ্ধে।
অপর দিকে কালিহাতি উপজেলার সমন্বয়করা দাবী করছে তারেক আমাদের আন্দোলনে কোথাও দেখতে পায়নি। সে আমাদের সমন্বয়ক নয়।
আরো পড়ুন – আমার বাবারে কিজন্য গুলি কইরা মারলো?
গত বৃহস্পতিবার (৮ আগষ্ট) কালিহাতি উপজেলায় সংবাদ সম্মেলন করে কালিহাতি উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
এসময় তারা বলেন, তারেক আমাদের সাথে কোন প্রকার আন্দোলনে ছিল না। সে কোন সমন্বয়ক নয়।
তারেক যে অভিযোগ তুলেছে তা সম্পুর্ন ভুয়া, সোহেল হাজারী ও শুকুর মাহমুদ আকাশ পাতাল তফাত কিভাবে এই দুজনকে মিলানো যায়।
শুকুর মাহমুদ আমাদের আন্দোলনে সহযোগিতা করেছে সে কোন ভাবে হামলা করতে পারে না।
আমরা ছাত্র সমাজ কোনো প্রকার সহিংসতা ও নৈরাজ্যের সাথে জড়িত না।
কেও বা কারো ব্যক্তিগত আক্রোশ পোষণ করার জন্য আমরা এই ছাত্র সমাজ গড়ে তুলিনি।
বৈষম্য বিরোধী কালিহাতীর সমন্বয়ক কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে ওই কমিটিকে প্রাধান্য দেয় না ছাত্র সমাজ।
আমরা যারা মাঠে শ্রম দিয়েছি তিনাদের বাদ দিয়ে এই কমিটির তালিকা গঠন করা হয়েছে।
ওই কমিটি কে বানালো কিভাবে বানালো কোন ভিত্তিতে বানালো তার সত্যতা যাচাই করা হোক।
কি বলছে তারা?
আহত তারেক রহমান বলেন, বিজয় মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ করে সোহেল হাজারীর লোকজন আমার উপর হামলা করে।
এসময় আমার সাথে থাকা লোকজন এলোপাতাড়ি দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। আমি বেশ জখম হই।
আরো পড়ুন – ওবায়দুল কাদেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করেন – কাদের সিদ্দিকী
হামলাকারী শান্ত বলেন, আমার বাড়িতে তারেকের নের্তৃত্বে হামলা করা হয়। এসময় আমার এলাকার মানুষ তা প্রতিহত করে।
তারেককে এলাকার মানুষ মারধর করে। আমার বাড়ির আসবাব পত্র ভাংচুর করে।
এরপর আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় সাধারণ মানুষ তা প্রতিহত করে।
আর শুকুর মাহমুদের সাথে যে আমাকে জড়ানো হয়েছে তা একদম মিথ্যা ও বানোয়াট। শুকুর মাহমুদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই।
এবিষয়ে কালিহাতি উপজেলার সাবেক সভাপতি শুকুর মাহমুদ বলেন,আমার নামে মিথ্যা বানেয়াট তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
আমি ছাত্র আন্দোলনে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছি। কখনো আমি তাদের বিরুদ্ধে যায়নি।
স্থানীয় একটি সুত্র বলছে, কালিহাতী উপজেলার সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করার জন্য বেনজির আহমেদ টিটুর পক্ষের লোকজন বিএনপির সাবেক সভাপতি শুকুর মাহমুদকে এই হামলায় জড়িয়ে নানা মিথ্যা ও বানেয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে।
যাতে করে শুকুর মাহমুদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করতে পারে।