ঘাটাইলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিলেছে অনিয়মের প্রমাণ

দুর্নীতি

ঘাটাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

এ ঘটনায় দায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি।

গত ২৫ এপ্রিল দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)কে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে মার্চ মাসে বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও ইউএনও মো. সোহাগ হোসেন শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়ম পান।

পরে তিনি বিষয়টি তদন্ত করতে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

উপজেলা প্রশাসন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ আগের ইউএনও মো. সোহাগ হোসেন বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় শিক্ষার্থীর হাজিরা খাতা পর্যালোচনা করে অনুমোদিত তালিকার বাইরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে তিন জন এবং সপ্তম শ্রেণিতে ১৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির তথ্য পান।

খবরবাংলা

অন্যান্য শ্রেণিতেও শিক্ষার্থী ভর্তিতে বিভিন্ন অনিয়ম তাঁর নজরে আসে।

পরে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ইয়াসমিনকে আহ্বায়ক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামকে সদস্য করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ওই তদন্ত কমিটি এক মাস পর গত ৫ এপ্রিল নতুন ইউএনও মুনিয়া চৌধুরীর কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

আরও জানা গেছে, কমিটি প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে।

এরপর ইউএনও তদন্ত প্রতিবেদনটি গত ৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠান।

গত ১৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেন।

খবর বাংলা

এদিকে গত ২৫ এপ্রিল দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ভর্তি অনিয়মের বিষয়ে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে সহযোগিতার জন্য ইউএনওকে চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজহারুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়টি শুনেছেন; তবে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিয়া চৌধুরী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে; উনার নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার