জন্মের সময় নবজাতকের পা ভেঙ্গে দিল ডাক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে সিজারের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ওই ডাক্তারের নাম আ. রউফ।

তিনি শহরের থানা পাড়ায় অবস্থিত জয় ক্লিনিক এন্ড হসপিটালে সুলতানা বেগম নামের এক মহিলার সিজার করার সময় এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

অভিযুক্ত ওই ডাক্তার কোন সার্জন না হলেও এভাবে একের পর এক অপারেশন করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পা ভেঙ্গে যাওয়া নবজাতকের দাদী রওশন আরা বেগম এ অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১১ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত ১০টার সময় আমার ছেলের বৌ সুলতানাকে (২০) গর্ভবতী অবস্থায় টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়ায় অবস্থিত জয় ক্লিনিক এন্ড হসপিটালে নিয়ে যাই। সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তার আ. রউফ দ্রুত আল্ট্রাসনোগ্রাফী করাতে বলেন। সেখানেই আল্ট্রা শেষে দ্রুত সিজার করাতে বলেন। এর জন্য ১২ হাজার টাকা লাগবে বলে জানান ডাক্তার আ. রউফ।

দর কষাকষির পর আমরা ৯ হাজার টাকা দিতে রাজি হই। এরপর দ্রুত রোগীকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১১টার সময় সিজার শেষে নবজাতককে বেডে নেওয়া হয়। এসময় নবজাতক অনেক শব্দ করে কান্না করতে থাকে। কান্না কোনভাবেই থামানো যায়নি।

এ বিষয়ে ডাক্তারকে অবহিত করা হয়। পরে দেখা যায় নবজাতকের ডান পা ফুলে গেছে। পরে সেখান থেকে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত সেফা ক্লিনিকের একজন ডাক্তারের কাছে নবজাতককে নিয়ে যেতে বলেন। ঐ ঠিকানা মোতাবেক পরের দিন সেফা ক্লিনিকে নিয়ে নবজাতকের পা এক্সরে করা হয়। এক্সরে রির্পোটে দেখা যায় বাচ্চাটির ডান পায়ের হাটুর উপরের অংশের হাড় ভেঙ্গে গেছে। এর পরের দিন রিপোর্ট নিয়ে রাজধানী ক্লিনিকে যাই। সেখানে ডাক্তার বেলায়েতকে রিপোর্ট দেখানো হলে নবজাতকের পা ভাঙ্গার বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এসময় তিনি আরো জানান, আমরা জয় ক্লিনিক এন্ড হসপিটালের মালিকের সাথে দেখা করে বিষয়টি অবহিত করি। তারা কেউ বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব দেয়নি। এ অবস্থায় আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ঐ ডাক্তার আ. রউফ কোন গাইনি ডাক্তার নন। এমনকি তিনি সার্জিক্যাল কোন ডাক্তারও নন। তবে সে কীভাবে অপারেশন করে নবজাতকের পা ভেঙ্গে ফেলল। তারা ডাক্তারের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিচার দাবী করেন।

ডাক্তার আ. রউফ-এর সাথে মুঠোফোনে গর্ভবতীর সির্জার করার বিষয়টি স্বীকার করেন। নবজাতকের পা ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টিও স্বীকার করেন। একজন সার্জন না হয়েও তিনি কিভাবে সিজার করেছেন জানতে চাইলে আ. রউফ বলেন, এতে কোন বাঁধা নেই।