নিজস্ব প্রতিবেদক : হোক পাহাড়, চর বা ভর; প্রত্যন্ত যে কোন এলাকায় জমির আইল ধরে বাঁশের খুঁটিতে করেই হাই-ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার চলে গেছে মাইলকে মাইল, গ্রামকে গ্রাম।
গ্রাহকদের অভিযোগ, সিমেন্টের খুঁটির টাকা নিলেও বিদ্যুতের লোকজন ও ঠিকাদারদের যোগসাজশে বাঁশের খুঁটিতেই বিদ্যুতের তার টাঙিয়েছে ঠিকাদার।
এই বিষয়টি বিদ্যুৎ বিভাগের ওপেন সিক্রেট, সবাই জানে কেউ প্রতিবাদ করে না; প্রতিবাদ করলেই ভুতুরে বিল, বকেয়া বিল, মামলা দিয়ে জেল জরিমানা করতে দ্বিধাবোধ করে না বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন।
গ্রাহকদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সিমেন্টের খুটির পরিবর্তে বাঁশের খুটি দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্টের খুঁটি লাগাতে গ্রাহক প্রতি তিন হাজার করে টাকা নিয়েও অফিসের লোকজনের যোগসাজশে বাঁশের খুঁটি লাগিয়েছে।
কোথাও কোথাও বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুঁটি থাকলেও গ্রাহক জমিতে বাঁশের খুঁটি পুতে তার টেনে বাড়ি কিংবা সেচের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন।
কোথাও কোথাও দেখা যায়, বৈদ্যুতিক তারের ভারে বাঁশের দুর্বল খুঁটি হেলে পড়েছে; আবার হেলে থাকা বাঁশের খুঁটি ঠেকনা দেয়া হয়েছে অরেকটি বাঁশ দিয়ে।
এই অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল, জমিতে চাষাবাদ এমনকি বাঁশের খুঁটিতে ঝুলন্ত তারের সাথে বসবাসও করতে হচ্ছে তাদের।
এমন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের চিত্র জেলার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়।
এই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন দেখে মনে হয়, মাথার উপর ঝুলছে মৃত্যু পরোয়ান।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের মাদারজানি গ্রামের সেচ স্কিম মালিক মো. খোরশেদ আলম খসরু বলেন, বিদ্যুৎ লাইনের বাঁশের খুঁটি নষ্ট কিংবা ভেঙ্গে পড়লে গ্রাহকরাই নিজ উদ্যোগে খুঁটি মেরামত করে।
বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কোন খোঁজ খবর নেন না।
এ বিষয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শফি বলেন, সড়কের পাশ থেকে বিদ্যুতের লাইন নেয়া বাঁশের খুঁটিটি হেলে পড়েছে।
ঝড়-বৃষ্টিতে দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত লাইনের সংস্কার ও বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করে সিমেন্টের খুঁটিতে সংযোগ দেয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো)-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, দ্রুত বাঁশের খুঁটি পরিবর্তন করে সিমেন্ট খুঁটি লাগানো হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার