টাঙ্গাইল বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে ১২ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ সফল করা লক্ষ্যে আয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে নয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে মামলা দায়ের করাসহ মঙ্গলবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধনবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ফরিদ আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌর বিএনপির ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক শাহীন চৌধুরী, জেলা যুবদল নেতা হেলাল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ, বাসাইলের আমিনুরসহ ১২ নেতাকর্মী।
আরো পড়ুন – কালিহাতীতে পুলিশের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার অভিযোগ বিএনপির
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে শহরের ফুলি কমিউনিটি সেন্টারের তৃতীয় তলায় এ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ি কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এড. আহমেদ আযম খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় এ সময় জেলা বিএনপির ২৩টি ইউনিট এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদলসহ এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তার বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার গণসমাবেশ বানচাল করতে সরকারের মদদে এই গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
এ কারণে শান্তিপূর্ণ প্রস্তুতি সভা শেষে ফেরার পথে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, এরই জের ধরে নাগরপুর ও কালিহাতীর নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয়।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে বাড়ির পাশের টিলা থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার
গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকার গণসমাবেশে যাওয়া ফিরিয়ে রাখা যাবে না।
টাঙ্গাইল থেকে কমপক্ষে পঁচিশ হাজার নেতাকর্মী ঢাকার গণসমাবেশে যাবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশের বক্তব্য –
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া পিপিএম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গতকাল সোমবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহানুল ইসলাম বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় ৩১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার
