ঠিকাদার নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহের দরপত্রে কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিয়নায়তনে কয়েকজন এমএসআর ঠিকাদার এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি ২০২০-২০২১ অর্থ বৎসরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে এমএসআর সরবরাহের দরপত্র আহবান করা হয়।

নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের প্রতিষ্ঠান মেসার্স শামছুল হক ফামের্সী, মেসার্স লোটাস সার্জিক্যাল, মেসার্স প্রন্তিক এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সাইদ মেডিক্যাল, মেসার্স দীনা ফার্মেসীর নামে দরপত্র ক্রয় করে দরপত্রের শর্তাবলী অনুযায়ী সকল কাগজপত্রসহ বিগত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর দরপত্র দাখিল করা হয়।

দরপত্র দাখিলের দুই মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পর বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সর্বনিম্ন দরদাতাদের দর প্রস্তাব মূল্যায়ন না করে অনিয়মের মাধ্যমে উচ্চ দরদাতাদের দর প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে চুড়ান্তভাবে ঠিকাদার নিয়োগের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

এতে সরকারের কয়েক কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরে তারা অনিয়মের বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়- কী কারণে তাদের সিডিউল বাতিল করা হয়েছে।

কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবেদন গ্রহন করেন না।

আমরা পরে তথ্য আধিকার আইনের মাধ্যমে জানতে চাইলে সেই আবেদন পত্রও গ্রহণ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পরে সবগুলো চিঠি ডাকযোগে রেজিস্ট্রি করে জেনারেল হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়।

কিন্তু সেটি গ্রহণ না করে ফেরত দেয়া হয়েছে এবং এর কোন সদোত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মেসার্স শামছুল হক ফার্মেসীর প্রোপ্রাইটর আমিনুর রহমান শাহীন, মেসার্স সাইদ মেডিক্যাল হলের প্রোপ্রাইটর আবু সাইদ চৌধুরী ও মেসার্স প্রান্তিক এন্টারপ্রাইজের পরিচালক আব্দুল্লাহ আলম মাসুদ।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. সদর উদ্দিন এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে তিনি অফিসে এসে কথা বলতে বলেন। সম্পাদনা – অলক কুমার