নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নিবাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে হামলা সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষনের ঘটনা ঘটেছে।
এতে একজন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের রেহাই পাইকাল গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতের নাম তোতা শেখ (৪০)। আহতদের মধ্যে নিহতের ছোট ভাই রফিক শেখ ও বোন জামাই বাচ্চু মন্ডল রয়েছে; তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
সে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের রেহাই পাইকাইল গ্রামের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্কেল মেম্বারের ছেলে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতর বাবা মো. আক্কেল আলী।
নিহতের ভাই গুলিবিদ্ধ আহত রফিক শেখ জানান, আমরা পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থক এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেমের পক্ষে কাজ করছিলাম।
হঠাৎ আমাদের গ্রামের দপ্তিয়র ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীন আমাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে কাজ না করার অভিযোগ আনে।
শুক্রবার বিকালে আমরা পাইকেল বটতলা মোড়ে চা খাচ্ছিলাম। এসময় আমাদের সাথে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দীনের কথা কাটাকাটি হয়।
পড়ে সন্ধ্যায় সাইফুদ্দীন, সুমন, খাজা ও জাহাঙ্গীর অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে।
এসময় প্রতিপক্ষ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষন করলে আমার পায়ে গুলি লাগে। মুহর্তের মধ্যে গোটা এলাকায় আতংক ছাড়িয়ে পরে।
এ ঘটনায় আমার ভাই তোতা শেখ, বোন জামাই বাচ্চু মন্ডল ও আমাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দৌলতপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে আমার ভাই তোতা শেখ মৃত্যুবরণ করেন।
আহতদের মধ্যে চারজনকে পাশের জেলা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
রাত পৌনে নয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে সঠিক তদন্ত পূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার