নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাঁচ আরড়া গ্রামের মো. আতোয়ার শেখের ৫ম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে মোছা. তানিয়া আক্তার (১১)কে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামীরা জামিনে বেরিয়ে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ও বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হুমকির ঘটনায় তানিয়ার বাবা পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালতে একটি আবেদন করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের পাঁচ আড়রা গ্রামের মো. আতোয়ারের ছেলে মো. আল-আমিন (১৮) এর সাথে একই গ্রামের খোরশেদ ঢালির সাথে মোহাম্মদ আলীর পরিত্যক্ত ভিটায় কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির সময় আতোয়ার ও তার স্ত্রী রেখা বেগম এবং শিশু কন্যা তানিয়া এগিয়ে আসলে এক পর্যায়ে খোরশেদ ও তার স্ত্রী মেয়ে দেশিও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে অর্তকিত ভাবে হামলা চালায়।
এ সময় শিশু তানিয়া বাঁধা দিতে গেলে তাকে বেদম পিটানোসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাত করে।
শিশুটি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অচেতন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তানিয়ার বাবা আতোয়ার শেখ বলেন, আমার শিশু বাচ্চাকে খোরশেদের পরিবার লৌহার রড ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
এ ঘটনায় আমি নাগরপুর থানায় একটি মামলা করলে আসামীরা আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হন।
নাগরপুর থানার পুলিশ আসামীর পক্ষ নিয়ে মামলাটি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বর্তমানে আসামীদের হুমকির কারণে পরিবারের সাথে নিজ বাড়িতে থাকতে পারছি না।
এ ঘটনায় তানিয়ার বাবা বাদি হয়ে খোরশেদসহ তিনজনকে আসামি করে নাগরপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
ওই মামলায় খোরশেদ, রেবা বেগম ও বিথী আদালত থেকে জামিনে এসে বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে।
ফলে মামলার বাদি পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ওই ৩ জনকে আসামী করে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেন।
পরে গত ২৩ নভেম্বর আসামী খোরশেদ ভূক্তভোগী আতোয়ারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার