নাগরপুরে তিন সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে লাভলী আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার মো. আরান আলীর ছেলে মো. লুৎফর মিয়া (৪০) এর সাথে সহবতপুর ইউনিয়নের কোকাদাইর গ্রামের চান মিয়ার মেয়ে লাভলী আক্তার এর প্রায় এক যুগ আগে বিয়ে হয়।

তাদের সংসারে এক ছেলে ও যমজ দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

সংসার ভালোভাবে চললেও সম্প্রতি স্বামী লুৎফর ছোট খাটো বিষয় নিয়ে স্ত্রী লাভলীর উপর অত্যাচার করতে থাকে।

সর্বশেষ রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মারধরের বিষয়টি লাভলী তার মা-বাবাকে জানায়।

এরপর বিকেলে লাভলী বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে এমন খবর দেয়া হয় তার পরিবারকে।

নিহতের বোন ও ভাই জানান, ‘বিয়ের পরেই আমার বোনের সুখের জন্য একটি ঘর করে দেই এবং বিভিন্ন সময়ে বোন জামাইকে সহযোগিতা করে আসছি।

বোরবার সকালে আমার বোন জামাই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি করার এক পর্যায়ে আমার বোন লাভলীকে মারধর করে।

পরে বোনের স্বামীর বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে জানায় লাভলী বিষ খায়েছে তাকে নাগরপুর হাসপাতালে আনা হয়েছে।

কর্মরত ডাক্তার লাভলীকে মৃত ঘোষনা করলে স্বামী লুৎফর ও তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

তারা আরো বলেন, আমাদের বোন আত্মহত্যা করেনি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিসুর রহমান বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার গয়হাটা ইউনিয়নের বনগ্রাম এলাকার লাভলী আক্তার নামের এক গৃহবধূ বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান।

সংবাদ পেয়ে দ্রুত এসআই আয়নাল হককে হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার