বাবার শরীরে করোনা বাসা বেঁধেছিল। জানতে বা বুঝতে পারেনি বাবা। ছুটিতে বাড়ি এসে পরিবার পরিজনের সাথে আনন্দঘন সময় কাটানোর এক পর্যায়ে জানতে পারলেন তার সহকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পর ৭ মে তিনি ঢাকায় গিয়ে আইসিডিডিআরবিতে নমুনা দেন। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানতে পারেন তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এই ঘটনা জানার পর আমরা ৮ মাসের শিশুসহ আরো চার জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠাই। ১২ মে (মঙ্গলবার) রাতে জানতে পারি ওই পরিবারের চারজনই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রাতেই আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িসহ আশেপাশের আরো দশটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
কথাগুলো জানান, নাগরপুর উপজেলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রোকনুজ্জামান খান।
আর ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বাটরা দক্ষিণ পাড়ায়।
এসময় তিনি আরো জনান, প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তির শরীর থেকে তার বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তানের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। পরে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।