টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ৭টি জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সেতু নির্মিত হলেও সেই সেতু দিয়ে চলাচলের রাস্তা না থাকায় কোন প্রকার সুফল পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। সেতুর এপ্রোজ অংশে মাটি ভরাট না করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। জনসাধারণের যাতায়াতের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সেতুগুলো নির্মিত হলেও- সেই সেতুই এখন গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে।
উপজেলা সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনার অধীনে ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে মোট ১৫টি সেতু নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এর মধ্যে ৭টি সেতুর এপ্রোজ অংশে মাটি ভরাট না থাকায় জনগণের কোন কাজেই লাগছে না সেতুগুলো। উপজেলার হান্দুলী বাইশাখালী, কাঞ্চনপুর তারাবাড়ী রাখের পাড়, কাউলজানী মধ্যপাড়া সেতুগুলি অবস্থা সবচেয়ে বেশি ঝুকিপূর্ন। এ সকল অঞ্চলে সেতু নির্মাণের পর থেকে বর্ষা মৌসুমে নৌকা চলাচল ব্যহত হচ্ছে। বর্তমানেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এ অঞ্চলের মানুষ। এদিকে সেতু নির্মাণে যথাযথ নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।
বাসাইলের বর্নি গ্রামের হরমুজ আলী বলেন, এখানে এ সেতুটি নির্মাণে এলাকার মানুষ অত্যন্ত খুশি হয়েছিল, কিন্তু নির্মাণের ৩/৪ বছর হয়ে গেলেও সেতুর এপ্রোজ অংশে মাটি ভরাট না করায় এখন প্রচন্ড দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কাউলজানাী গ্রামের বাছেদ মিয়া বলেন, আমাদের এখানে একটি মাদ্রাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সেতুর এপ্রোজ অংশে মাটি না থাকায় যাতায়াতে খুবই কষ্ট করছে কোমলমতি শিশুরা।
কাঞ্চনপুর এলাকার মাসুদ রানা বলেন, ৫০ লাখ টাকা ব্যায়ে এখানে এ সেতুটি নির্মান হলেও ৫০ পয়সার কাজেও লাগছেনা।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, খুব দ্রæত সময়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এ সকল সেতু নির্মানের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফলতি আছেকিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।
এ ব্যাপারে বাসাইল উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের বন্যায় সেতু গুলির এপ্রোজ অংশের মাটি ধ্বসে গেছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি খুব শিঘ্রই মাটি ভরাট করে সেতুগুলি মানুষের চলাচলের উপযোগী করা হবে।