ভূঞাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র ও গাড়িসহ মনির (২৫) নামের এক চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মাইক্রোবাসের চালক মনির উপজেলার সমেশপুর গ্রামের লোকমানের ছেলে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার গোপালপুর থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রট আবু বক্কর সরকারের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গোপালপুর পৌরসভার থানা সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি চালায়।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে দুই এমপি প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
এসময় মাইক্রোবাসযোগে দেশীয় অস্ত্রবহনকারী মাইক্রোবাসটিকে থামানোর জন্য সিগনাল দেয়া হয়।
এসময় গাড়ি থাকা দুইজন পালিয়ে যায়। পরে অস্ত্রসহ চালককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এখন প্রশ্ন উঠেছে কোন প্রার্থীর অনুসারী এই অস্ত্র বহনকারী গাড়ির চালক?
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার জানিয়েছেন, বর্তমান সাংসদ তানভীর হাসান ছোট মনিরের সন্ত্রাসী বাহিনী গতকাল আমার সমর্থক গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিককে নির্মমভাবে কুপিয়েছে।
সে এখন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
এসময় তারা গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আ. লতিফ মিয়া, বেলায়েত হোসেন সহ ৬/৭ জনকে কুপিয়ে আহত করেছেন।
এসময় তিনি আরো জানান, আমার কোন সমর্থক তো কোন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়ায় নাই।
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, ছোট মনির ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিনিয়ত আমার কর্মী সমর্থকদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অপরদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীন হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জানান, ঠান্ডু তালুকদারের কাছে মানুষ অনেক টাকা পাবে, তারা পাওনা টাকার জন্য তাকে ধাওয়া দিয়েছিল।
এই ঘটনায় আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই।
আরো পড়ুন – ঈগলের নির্বাচনী সভা ও গাড়ি বহরে নৌকার হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল হাসান এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ম্যাজিস্ট্রট আবু বক্কর সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে র্যাব ও পুলিশের সহায়তায় ওই মাইক্রোবাস চালককে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেন।
পরে র্যাবের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। আসামীকে এখনো পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়নি।
জনমনে প্রশ্ন –
তবে জনমনে প্রশ্নের উদ্বেগ, কোন প্রার্থীর অনুসারী এই অস্ত্রের বাহক?
তারা বলছেন, যেহেতু দুইজনই আওয়ামী লীগের প্রার্থী। একজন নৌকা, অপরজন নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে দলের সমর্থনে শেখ হাসিনার অনুমতিক্রমে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
তাহলে কেন এই মারামারি হানাহানি? কেন এই প্রাণনাশের প্রস্তুতি?
যারা নিয়েছে এই প্রাণ নাশের প্রস্তুতি, তারা কি সত্যি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের? নাকি শুধুই ক্ষমতা লোভী?
কে দিবে এর উত্তর?