দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন : টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর)

ঈগলের নির্বাচনী সভা ও গাড়ি বহরে নৌকার হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ

ভূঞাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় হামলা

ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলে ভুঞাপুরে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের নির্বাচনী সভায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এরপর বিকেলে গাড়িযোগে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আবারও হামলার শিকার হন এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

দুইবারের হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত রয়েছে।

হামলার ঘটনা জড়িতদের বিরুদ্ধে থানা ও নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলের পাঁচ হেবিওয়েট প্রার্থীর প্রতীক ঈগল, দুইজনের ট্রাক

এই ঘটনায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় ভুঞাপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুঞাপুর কাঁচাবাজারস্থ ডেল্টা লাইভ ইন্স্যুরেন্স কার্যালয়ে নির্বাচনী সভা চলাকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনিরের অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন তিনি।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার, ভুঞাপুর পৌরসভার মেয়র মাসুদুল হক মাসুদ, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রকিবুল হক ছানা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল ইসলাম বাবলুসহ দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতারা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এমপি প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু নেতাকর্মীদের নিয়ে ইন্স্যুরেন্স কার্যালয়ে নির্বাচনী সভা শুরু হয়।

ভূঞাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় হামলা

এসময় আতর্কিতভবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অনুসারীরা হামলা করে ভাঙচুর করে।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর বক্তব্য –

এমপি প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, নির্বাচনী সভা চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছোট মনিরের ক্যাডাররা হামলা করেছে।

এসময় অফিসে ভাঙচুর করা হয় এবং হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া আমাদের টার্গেট করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলাকারীরা।

পরে পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এই ঘটনায় হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে থানাসহ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রার্থীর উপর যদি হামলা তাহলে ভোটার ও সমর্থকরা অংশগ্রহণ করবে না।

তারাতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট দিতে আসবে না।

ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে না আসতে পারে আমরাই যদি প্রচারণার ক্ষেত্রে বাঁধাগ্রস্থ হই তাহলে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে কিভাবে?

তিনি আরো বলেন, তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমার ৬-৭ জন সমর্থককে কুপিয়ে আহত করেছে।

প্রশাসনের বক্তব্য –

ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান উল্ল্যাহ জানান, ঘটনার পরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।