ভাসানীতে শিক্ষার্থী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

ভাসানীতে শিক্ষার্থী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত

মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি : শিক্ষার্থী ছাড়াই মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবস পালন করলেন কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধী ও অধিকার ক্ষুন্ন করার অভিযোগ এনে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, ছাত্র সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া সকল কর্মসূচি ‘বয়কট’ এর সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

আরো পড়ুন – গেটম্যানের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে যে সকল কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তা সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিরোধী এবং এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে এ সকল কর্মসূচিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যথিত ও মর্মাহত।

শিক্ষার্থীরা জানায়, বিগত বছরগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে জমকালো আয়োজনে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিতকরণ, আনন্দ শোভাযাত্রা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য টি-শার্ট, প্রতিটা হলে ফিস্ট মিল ও মুক্তমঞ্চে কনসার্ট এর সুবিধা রাখা হলেও এ বছর রাখা হয়নি।

ছাত্র প্রতিনিধিদের কথা :

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিবিড় পাল বলেন, বিগত বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের জন্য যে সকল সুবিধা রাখা হয়েছিল, এবার তার কিছুই রাখা হয়নি।

পেইজটিতে লাইক দিয়ে সাথে থাকুন – https://www.facebook.com/JournalistAlokKumar/

আমরা ভাইস চ্যান্সেলর স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম প্রয়োজনে বিগত বছরের মত ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের দিন পিছিয়ে নিতে।

কিন্তু স্যার আমাদের কোন কথা না রেখে একক সিদ্ধান্তে শিক্ষার্থী ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মানিক শীল বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বারবার যোগাযোগ করলেও আমাদের কোন দাবির কথাই রাখেনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি শুভ দে বলেন, আমরা সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সংবাদ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভিসির বক্তব্য :

মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি, এই মুহুর্তে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে ফোন কেটে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন

আরো পড়ুন – হাজতখানায় রশি এলো কোথা থেকে?

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নামে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

জাতীয় সংসদে বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয় ১২ জুলাই ২০০১ সালের ও তা কার্যকর হয় ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে ২০০৩ সালের ২৫ অক্টোবর।