৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরেও কমেনি যুবলীগ নেতার দাপট ও তান্ডব। আওয়ামী লীগ সরকার পতন হওয়ার পরেও কোন ক্ষমতাবলে, কার ছায়াতলে থেকে সে এখনো বহাল তবিয়তে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে, তা নিয়েও সন্দিহান ভূক্তভোগীরা। ভূঞাপুরের পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও দুইবার পৌরসভার নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মেহেদী হাসান আলীম আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ের মতোই নিজের আধিপত্য ধরে রেখেছেন। এখনো দাপট ধরে রেখেছেন বাদশা। সেই দাপটে এখন তিনি তার পরিবারের ওপরও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
জানা যায়, বাদশা চকদার তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গত ১৬ জুন আপন ভাই মজনু চকদারের বাড়িতে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে বসত বাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া মজনু চকদারের স্ত্রীকেও মারধর করে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বীর হাটি গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ চকদারের ছেলে মজনু চকদার তার পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে ৭ শতাংশ জমি পায়। এরপর তার ভাইদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে নেন। কিন্তু তার বাবা মারা যাবার পরে তার ভাইয়েরা মজনু চকদারের জমি অস্বীকার করেন। এ জমি নিয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার নথিতে দেখা যায়, বাদশা চকদার, ইউসুফ চকদার, আক্তার চকদার, মায়া বেগম, সেলিনা বেগমকে আসামী করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তারা ধরাছোয়ার বাহিরে।
মামলার বাদী ও ভূক্তভোগীদের কথা –
অভিযোগের বাদী শাহিদা বেগম বলেন,গত ১৬ জুন বেলা ১১টার দিকে বাদশার নেত্বত্বে একদল সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। যখন হামলা করে তখন বাড়িতে আমার স্বামী ও ছেলে ছিলো না। আমি এবং আমার ৮ বছরের মেয়ে বাড়িতে ছিলাম। এই সুযোগে বাদশা, ইউসুফ, মায়া, সেলিনা আমাদের বাড়ির গেট, টিনের ভেড়া, মাটির চুলা, পানির ট্যাংকসহ ঘরের ভিতর আলমারি সুকেচ ভাংচুর করে, সুকেচে থাকা ৫ লাখ টাকা, আড়াই ভরি স্বর্ণ লুট করে নেয়। এরপর আমাকে মারধর করার পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা চলে যায়। প্রতিবেশীরা আমাকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মজনু চকদার বলেন, আমার ভাইদের জমি আমি কিনে নিয়েছি যখন তখন আমার ভাইদের নামে দলিল না থাকায় বাবা আমাকে দলিল করে দেয়। আর এখন আমার কাগজ সব ঠিক থাকার পরেও বাদশা তার দাপটে আমার জমি দখল দিয়ে রেখেছে। আমার ভাই হলে কি হবে সে যে অন্যায় করছে আমি এই অন্যায়ের বিচার চাই। তার কারণে আমাদের এখানে বসবাস করা কষ্ট হয়ে গেছে। সে আমার স্ত্রীর কাছে আমার ছেলেকে হত্যা করার হুমকিও দিয়েছে। হামলা ও জমি দখলের বিষয়ে ভূঞাপুর থানা এবং সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও অভিযুক্তের বক্তব্য –
ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউর করিম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান আলীমকে বার বার মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।