ভূঞাপুরে সপ্তম শ্রেণীর হিন্দু ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে মাদরাসা শিক্ষক

ভূঞাপুর উপজেলা

ভূঞাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছে মাদরাসার শিক্ষক।

আবু সামা (৩৫) নামের ওই শিক্ষক উপজেলার ধুবলিয়া এলাকায় খালেক নুরানী মাদরাসার শিক্ষক এবং উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের মৃত আরজু মিয়ার ছেলে।

এঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে মা-ভাইয়ের সাক্ষীতে যুবকের কারাদণ্ড

ধুবলিয়াতের শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে পলাতক শিক্ষক আবু সামার ভাই ও সহযোগী আব্দুর রাজ্জাক ওরফে মোতালেবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে।

জানা গেছে, উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের শিক্ষক আবু সামা ওই গ্রামের খালেক নুরানী মাদরাসায় শিক্ষকতার কারণে ধুবলিয়া বাজারের একটি ওষুধের দোকানের পিছনে গণিত বিষয়ে টিউশনি করতো।

গত দুই মাস ধরে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই ছাত্রী আবু সামার কাছে গণিতের প্রাইভেট পড়তো।

এই সুযোগে আবু সামা প্রথম থেকেই ছাত্রীকে কু-নজরে দেখার পাশাপাশি প্রেম প্রস্তাব দেয়।

পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তাদের আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আত্মসমর্পণকারী চার আসামির তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর

স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক আবু সামার পরিবার ও তার ভাই রাজ্জাক জামায়াতের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।

কি কারণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েটিকে সে প্রলোভন দেখিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়েছে গেছে। বিষয়টি মিমাংসার জন্য ওই সংখ্যালঘু পরিবারটিকে চাপ দিচ্ছে।

ওই মেয়েটির বাবা জানান, সন্ধ্যার পর থেকে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না।

শিক্ষক আবু সামার কাছে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে সে আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে গেছে।

এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিশ তার ভাইকে ধরেছে বলে জেনেছি; এখন পর্যন্ত আমার মেয়ের কোন খোঁজ পাচ্ছি না।

আরো পড়ুন – সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা, অংশগ্রহণ না করলে জরিমানা

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, এঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পায়নি।

ঘটনাটি জানার পরই শিক্ষকের ভাই ও সহযোগী রাজ্জাককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মেয়েটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। সম্পাদনা – অলক কুমার