মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পাচ্ছেন ফজলুর রহমান খান ফারুক

বিশেষ প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান; জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি; সাবেক গণ পরিষদ সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক এ বছর ‘একুশে পদক’ পাচ্ছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার তাকে সর্বোচ্চ এ পদক দিতে মনোনীত করেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ফজলুর রহমান খান ফারুক ‘একুশে পদক’ পাচ্ছেন এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষক, সুধী সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় সর্ব কনিষ্ঠ এমপি ছিলেন ফজলুর রহমান খান ফারুক।

এবার ২১ জন গুণী ব্যাক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ‘একুশে পদক’ পাচ্ছেন।

এরমধ্যে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সন্তান ফজলুর রহমান খান ফারুকও ‘একুশে পদক’ পাচ্ছেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে খান আহমেদ শুভ নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এ সহচরের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে।

১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর ওই গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। বাবা প্রয়াত আব্দুল হালিম খান ও মা প্রয়াত ইয়াকুতুন্নেছা খানমের আট সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতাও করেছেন। ৬২ সাল থেকে ৬৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার টাঙ্গাইল প্রতিনিধি ও টাঙ্গাইল মহকুমা প্রেসক্লাব এবং টাঙ্গাইল মহকুমা মফস্বল সংবাদদাতা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

বর্তমানে তার সম্পাদনায় টাঙ্গাইল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে আজকের দেশবাসী নামে একটি দৈনিক পত্রিকা।

ফজলুর রহমান খান ফারুক টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সদস্য ও মির্জাপুর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য।

এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক এই বর্ষিয়ান নেতা টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এখনও দিনের বেশির ভাগ সময় আওয়ামী রাজনীতিতে অবদান রেখে চলেছেন।

এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদের ঘনিষ্ট সহচর, ত্যাগী ও মহিয়সী সহধর্মিনী সুরাইয়া খানম গত বছর ২৪ আগস্ট (সোমবার) ইন্তেকাল করেছেন।

যার ত্যাগ ও প্রেরণায় ফজলুর রহমান খান ফারুক রাজনৈতিক জীবনে সফলতা অর্জন করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার