মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করায় নাগরপুরে বিক্ষোভ

নাগরপুর প্রতিনিধি : ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয় ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে।

কারণ মুসলমানরা তাদের নবী মুহাম্মদ (সা.)কে প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসে।

নবীজির অবমাননা মুসলমানগণ কিছুতেই বরদাস্ত করবে না।

ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমকে উস্কে দিয়ে ধর্মযুদ্ধ বাধাঁনোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে নাগরপুরে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (০২ নবেম্বর) সকালে নাগরপুর উপজেলা উলামায়ে কেরাম ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা এর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ মিছিলটি নাগরপুর সরকারি কলেজ গেট থেকে বের হয়ে সদর বাজারের গুরুত্বপূর্ন সড়ক ও উপজেলা চত্বর প্রদক্ষিণ করে সরকারি কলেজ মাঠ প্রঙ্গণে বিশাল প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শেষ করা হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মওলানা মো.আলী আকবর সাহেব।

প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, নাগরপুর বাজার জামে মসজিদের খতিব মাও: রফিকুল ইসলাম রফিক ও কওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাও: মো. রফিকুল ইসলাম আমিনী প্রমুখ।

এসময় বক্তরা বলেন, ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয়ভাবে বহুতল ভবনে প্রকাশ্যে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে।

নবীজির অবমাননা মুসলমানগণ কিছুতেই বরদাস্ত করবে না।

ফ্রান্স সরকার নবীর বিরুদ্ধে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বমুসলিমকে উস্কে দিয়ে ধর্মযুদ্ধ বাধানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

ফ্রান্স সরকার কে জাতির কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।

অন্যথায় মুসলিমের কলিজায় যে দাবালন জ্বালিয়েছে সেই প্রতিবাদের দাবানল সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পরবে।

এই মুহুর্ত থেকে ফ্রান্সের সকল পণ্য আপনারা বর্জন করুন।

বক্তারা বিশ্বশান্তির দূত হযরত মহানবী (সা.) এর অবমাননা বন্ধে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানোর জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহবান। সম্পাদনা – অলক কুমার