মোটরসাইকেল চুরি মামলার আসামি ইউপি সদস্য রাতে বিধবার ঘরে

মোটরসাইকেল চুরি মামলার আসামি ইউপি সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের শ্যামার ঘাট এলাকার সোহাগ মিয়া (৩৫) বর্তমানে ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য।

আর নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহনের আগেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে সাধারণ মানুষের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন তিনি।

এর আগেও তিনি মোটরসাইকেল চুরি মামলায় কারাভোগ করেছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার সিলিমপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমান (হাবিব) বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় এই তার বিরুদ্ধে একটি মোটরসাইকেল চুরি মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন – একই প্রশ্নের নিয়োগ পরীক্ষায় টাঙ্গাইল জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মেয়ের সফলতা ও বিফলতার কাহিনী

তিনি বলেন, সোহাগ সিলিমপুর ইউনিয়নের  ৫ নং ওয়ার্ডে চর পাকুল্লা গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে।

সে শ্যামারঘাট এলাকায় তার মামার বাড়িতে থেকে সেখানে নেশা বিক্রি, চুরি-ছিনতাই ও সুদের ব্যবসাসহ সকল প্রকার অপকর্ম শুরু করে।

পরে মোটরসাইকেল চুরি করে ধরা পরার পর আমি বাদি হয়ে মামলা করি, পরে এক মাসের মতো হাজত বাস করে।

এরপর এলাকাবাসী তাকে শ্যামারঘাট থেকে বিতাড়িত করেন।

কিন্তু মামার বাড়ি হওয়ায় ৫ নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য সোহাগ মিয়া (৩৫) শ্যামারঘাট এলাকায় যাতায়াত করে।

আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই

ভুক্তভোগী নারীর সাথে ইউপি সদস্য সোহাগের দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বলে জানান এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টায় সোহাগ ভুক্তভোগী নারীর (৪০) ঘরে প্রবেশ করে এবং বুধবার ভোর ৪টায় এলাকাবাসী তাদের আটক করে।

পরবর্তীতে সোহাগের মামা নুরজামালের জিম্মাদারীতে ছেড়ে দেয়া হয় সোহাগ মিয়াকে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী জানান, চার বছর আগে আমার স্বামী মারা যায়; এরপর থেকেই সোহাগ বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক চালাচ্ছে।

আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার

এ ব্যাপারে ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য সোহাগ জানান, যা করেছি ভুল করেছি; এখন বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ওসির বক্তব্য –

এই বিষয়ে সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।

যেন ভবিষ্যতে কোন জনপ্রতিনিধি এই ধরনের ঘটনা ঘটাইতে সাহস না পায়। অসহায় মহিলারা নিরাপদে, শান্তিতে থাকতে পারে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাই নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার