লক্ষ্মীপুরে নকল সোনাসহ প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী ও সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা। আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের মিয়ার বেড়ি বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের কলাকোপা গ্রামের মৃত মতি মিয়ার ছেলে আক্তার হোসেন, সবদুলপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে নয়ন হোসনে, একই গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে আল-আমিন ও জামখোলা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে নবী নেওয়াজ। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আটকরা একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারযোগে মিয়ার বেড়ি বাজারে ফারিহা শিল্পালয়ে সোনা বিক্রি করতে যায়। তাদের কাছে থাকা সোনার বারে ২১ ক্যারেট সিল ছিল। তবে সোনা নকল ছিল। সম্প্রতি রামগঞ্জ বাজারেও একই ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনা জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এক গ্রুপে প্রচার করা হয়।
এতে ফারিহা শিল্পালয়ের মালিক কামাল উদ্দিন ঘটনাটি আঁচ করতে পারেন। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার নেতাদের জানায়। পরে লক্ষ্মীপুর সদরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল গিয়ে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করে। তাদের সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফারিহা শিল্পালয়ের মালিক কামাল উদ্দিন বলেন, আটকরা সোনা বিক্রি করতে এসেছিল। তাদের সোনা নকল হওয়ায় আমি বাজুসের নেতাদের জানাই। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে তাদের আটক করে নিয়ে আসে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি পরেশ কর্মকার বলেন, সম্প্রতি একই চক্র রামগঞ্জে আমাদের এক ব্যবসায়ীর কাছে নকল সোনা বিক্রি করতে যায়। এটি তখন পুরো জেলার ব্যবসায়ীদেরকে জানানো হয়।
মিয়ার বেড়ি বাজারে ফারিহা শিল্পালয়ে বিক্রি করতে গেলে স্বর্ণকার তা বুঝতে পারে। এ ধরনের প্রতারক চক্র থেকে সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মোন্নাফ বলেন, নকল সোনা বিক্রি করতে গিয়ে ৪ জন প্রতারক আটক হয়েছে। নকল সোনা দিয়ে তারা টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছিল। ব্যবসায়ীর বুদ্ধিমত্তার কারণে তারা ধরা পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।