সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর মৃত্যু; নাগরপুরে অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

সাবেক প্রতিমন্ত্রী গৌতম চক্রবর্তীর অন্তোষ্টিক্রিয়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য; সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বিএনপি’র পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও কৃষকদলের সহ-সভাপতি উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী এড. গৌতম চক্রবর্তীর অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (২৮ মে) নিজ বাড়ি মামুদনগর কেন্দ্রীয় শ্মশানে সাবেক এই সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রীর অন্তোষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

আরো পড়ুন – কালিহাতীতে তুচ্ছ ঘটনায় মারামারি, একজনের প্রাণহানি

এর আগে এদিন সকালে উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে নিহতের মরদেহ নাগরপুর সরকারি কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদনের জন্য।

কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা উপজেলা বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং নাগরপুরের সর্বস্তরের মানুষ তাঁর শেষ বিদায়ে শ্রদ্ধা জানায়।

উল্লেখ্য – শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে এভার কেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। ১৯৫৫ সালের ৮ই মার্চ জন্ম গ্রহণ।

সে নাগরপুর যদুনাথ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি, নাগরপুর সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা হতে স্নাতক পাশ করেন।

আরো পড়ুন – ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ

জমি বিক্রয় নোটিশ

ছাত্র জীবনে জাসদের রাজনীতির সাথে সম্পৃত্ত ছিলেন।

১৯৯৬ সালে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদান করে প্রথম বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে ২য় বারের মত বিএনপি থেকে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে পানি সম্পাদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি।

তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে নাগরপুর-দেলদুয়ারের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেন।

তার রাজনৈতিক জীবনে সে সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে অবস্থান নিয়েছেন। ছাত্র জীবনে সে বিভিন্ন সময় জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন।

তাঁর মৃত্যুতে নাগরপুর-দেলদুয়ার দলীয় নেতাকর্মীরা অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে।

তিনি নাগরপুর সদর ইউনিয়নের চৌধুরী বাড়ীর শ্রী বিশ্বেশ্বর চক্রবর্তীর বড় ছেলে ছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে, মেয়ে জামাতাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার