ফলোআপ

স্ত্রীসহ ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন পেলেন বড় মনি

টাঙ্গাইল শহর আ’লীগ সহ-সভাপতি বড় মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক : ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি এবং তাঁর স্ত্রী নিগার আফতাব হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি ইকবাল কবির ও একেএম রবিউল হোসেনের আদালত তাঁদের চার সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।

গোলাম কিবরিয়া টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ভাই ও জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।

আরো পড়ুন – গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার বড় মনি

গোলাম কিবরিয়ার আইনজীবী মো. এহসান হাবিব জানান, গোলাম কিবরিয়া ও তাঁর স্ত্রী নিগার আফতাবকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত।

চার সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

শুনানিতে গোলাম কিবরিয়ার পক্ষে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, ৫ এপ্রিল রাতে এক কিশোরী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

ওই মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।

মামলায় ওই কিশোরী (১৭) অভিযোগ করেন, গোলাম কিবরিয়া তার পূর্বপরিচিত।

গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে গোলাম কিবরিয়া ডেকে নেন।

সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন ও আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন।

আরো পড়ুন – কিভাবে এতো অস্ত্র এলো এই প্রবাসীর কাছে?

পরে আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে ওই কিশোরী মামলায় অভিযোগ করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া জানার পর সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

তবে কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ তাকে শহরের আদালত পাড়ায় গোলাম কিবরিয়ার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া আবার ধর্ষণ করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার