বাসাইল সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের বাসাইলে চাচীর গোসলের নগ্ন ভিডিও ধারন করে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ওই নারী বাসাইল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মান্দারজানি গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ (২৮) কৌশলে তার চাচীর গোসলের নগ্ন ভিডিও করে।
পরে ওই ভিডিও হৃদয় খান নামে একটি ইমো আইডি থেকে তার সৌদি প্রবাসী চাচার নিকট পাঠায়।
আরো পড়ুন – ঘাটাইলে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার
দুই লক্ষ টাকা না দিলে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।
বিষয়টি তিনি তার স্ত্রীকে জানালে তিনি বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভূক্তভোগী ওই নারীর গোসলখানাটি অভিযুক্ত শরীফের ঘরের উত্তর পাশে ও দরজা বিহীন।
ওই ছবিটির ফ্রেম বিশ্লেষন করে দেখা যায়, ছবিটি অভিযুক্ত শরীফের ঘর থেকে তোলা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত শরীফের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় এলাকায় একাধিক গ্রাম সালিশ হয়েছে।
আরো পড়ুন – কৃষিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রস্তাবিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থানান্তরের অভিযোগ
ভূক্তভোগী নারী বলেন, শরিফ ইতোপূর্বে আমার ঘটে ঢুকে খাবারের সাথে বিষ জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে আমারদের সবাইকে মেরে ফেলারও চেষ্টা করেছিল।
শুধুমাত্র ভাতিজা বলে এতোদিন সকল অত্যাচার সহ্য করেছি। এখন ও আমার ইজ্জতের উপর হাত দিয়েছে। আমি ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে সৌদি প্রবাসী স্বামী মুঠোফোনে বলেন, যে ইমো আইডি হৃদয় খান থেকে আমাকে ভিডিওটি পাঠানো হয়েছে; ওই একই আইডি থেকে আমার ভাতিজা শরীফ আমার সাথে ইতোপূর্বে যোগাযোগ করেছে।
আরো পড়ুন- টাঙ্গাইলে পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শরীফ বলেন, আমাদের বাড়ীতে পুলিশ এসেছিল। আমি পুলিশকে আমার মোবাইল ফোন দিয়ে দিয়েছি।
আমার চাচীর সাথে এমন কাজ আমি করতে পারি না। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও তিনি দাবী করেন।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার