টাঙ্গাইলে পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

পুলিশ স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে প্রতারণা আর যৌতুক দাবির অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবল স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্ত্রী।

বুধবার (১৮ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এ অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জাপুর উপজেলার আগ ছাওয়ালী গ্রামের সরোয়ার মিয়ার মেয়ে ও পুলিশ কনস্টেবল স্বামী কবির হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার।

সোনিয়া আক্তারের স্বামী কবির হোসেন বর্তমানে ঢাকা মিরপুর-১৪ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত আছেন। কবির হোসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার আমন গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, কয়েক মাস যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কবিরের সাথে আমার কথা হয়।

আরো পড়ুন – কৃষিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে প্রস্তাবিত শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার স্থানান্তরের অভিযোগ

এরপর চলতি বছরের (১৪ ফেব্রুয়ারি) আমাদের ঢাকায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কবির আমার উপর চালাতে থাকে নির্মম অত্যাচার; পরে কবির টাকা দাবি করে।

এ পর্যন্ত কবির আমার কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়েছে; এখন কবির আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না রেখে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

জমি বিক্রয় নোটিশ

সে এখন আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বলে, যদি সাত লাখ টাকা দিতে পারেন তাহলে আপনার মেয়েকে নিয়ে আমি সংসার করবো।

কবিরের আগে বিয়ে হয়েছিল। সে কথা লুকিয়ে রেখে আমাকে বিয়ে করে। আমি কবিরের কঠিন বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, কবিরের বিরুদ্ধে তার কর্মরত থানায় অভিযোগ দায়ের করবো অতি দ্রুতই।

আরো পড়ুন – ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্রাম পুলিশের অভিযোগ

সোনিয়া আক্তারের ছোট ভাই মিরাজ বলেন, আমার বোনের সাথে যা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।

মা নাজমা বেগম বলেন, আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে কবির। তাই কবিরের কঠিন বিচার দাবী করছি।

সোনিয়া আক্তারের বাবা সরোয়ার মিয়া বলেন, পুলিশ মানুষের নিরাপত্তা দেয়। আর সেখানে কবির আমার মেয়ের সাথে প্রতারণা করেছে। কবিরের পুলিশে থাকা মানায় না। তার কঠিন বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল কবির হোসেন এর ব্যক্তিগত মুঠোফোন একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোনিয়া আক্তারের সাথে উপস্থিত ছিলেন তার বাবা সরোয়ার মিয়া, মা নাজমা বেগম, ছোট ভাই মিরাজ মিয়া। সম্পাদনা – অলক কুমার