নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শালিয়ারা আহম্মদিয়া বাজলুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আনোয়ার হোসেনকে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
তিনি নাগরপুর উপজেলার বাটরা গ্রামের সোনা উল্যাহ মিয়ার ছেলে।
গতকাল রবিবার ( ১৬ অক্টোবর) উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ও তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ আদেশ দেন আদালত।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যারা
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত ২৩ জুলাই ২০২০ সালে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় নিরাপত্তা কর্মী পদে লোক নিয়োগের ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শালিয়ারা আহম্মদিয়া বাজলুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
তখন অভিযোগকারী শারিরীক প্রতিবন্ধী মো. আরজু সিকদারের (৭০) ছেলে মো. ইয়ামিন মিয়া ওই পদের জন্য আবেদন করেন।
আবেদনের পর অত্র মাদ্রাসার সুপার অভিযোগকারীকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, তিনি তার সন্তানকে চাকুরী দিতে পারবেন।
তবে তাকে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে।
প্রতিবন্ধী কৃষক বাবা গোয়ালের চাষের গরু বিক্রি করে তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য তার হাতে প্রথম পর্যায়ে এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেন।
এ সময় মামলার ২ নাম্বার আসামি মো. হাবিবুর রহমান (অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক) সহযোগিতায় মামলার স্বাক্ষীগণের সামনে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার টাকা নেন।
আরো পড়ুন – নাগরপুরে ধলেশ্বরীর ভাঙনে হুমকীর মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি
অভিযোগকারীকে আশ্বস্ত করে যে, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
তবে বাকী এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়োগ পরীক্ষা শেষে দিলে তার চাকুরী নিশ্চিত করা হবে।
পরবর্তীতে ২৮ ডিসেম্বর ২০ তারিখে স্বাক্ষাতকারের প্রবেশ পত্র পান ও ৮ জানুয়ারী ২১ তারিখে সাক্ষাতকার বোর্ডে উপস্থিত হইয়া সবগুলো প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করেন।
সাক্ষাতকার পর্ব সন্তোষজনক হওয়ায় অভিযোগকারী বাকি এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে মাদ্রাসা সুপারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নানা টালবাহানা শুরু করেন।
এসময় অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মো. আনোয়ার হোসেন চাকুরী বা টাকা ফেরত দিবে না বলে জানান।
এবিষয়ে মোকাম টাঙ্গাইল সিনিঃ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী (নাগরপুর) আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
মামলা নং ১৫৩/২০২২ সি.আর (নাগরপুর)।
আরো পড়ুন – ভাসানীতে শিক্ষার্থী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত
অভিযোগকারীর বক্তব্য –
অভিযোগকারী মো. আরজু মিয়া জানান, আমি ও আমার পরিবার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
আমার সন্তানের চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে মাদ্রাসা সুপার ঘুষ নিয়ে চাকুরীও দিচ্ছে না আবার টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
বাধ্য হয়েই বিজ্ঞ আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছি।
আমি একজন শাররীক প্রতিবন্ধী কৃষক। পালের গরু ছাগল বিক্রি করে তাকে সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে টাকা দিয়েছিলাম।
মামলার ২ নং আসামি মো. হাবিবুর রহমান জামিনে মুক্ত হওয়ায় আমি চিন্তিত।
তবে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আমার দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস আছে আমি ন্যায় বিচার পাবো। সম্পাদনা – অলক কুমার