আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বাসাইলের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি করেছেন আদালত।
এর আগে তার বিরুদ্ধে বিবাহের বিশ্বাসে প্ররোচিত করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন এক কলেজছাত্রী।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানা এ আদেশ দেন।
এর আগে ওই কলেজছাত্রীর দায়ের করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার প্রতিবেদন দাখিল করে।
আরো পড়ুন – বিয়ের প্রলোভনে কলেজছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ইউএনও’র, শুনানি ১৪ এপ্রিল
ওই কলেজছাত্রীর আইনজীবী মো. রাসেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, মো. মনজুর হোসেন ২০২১ সালে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ইউএনও হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ফেসবুকের মাধ্যমে মির্জাপুরের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মনজুর হোসেন বিভিন্ন সময় ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন।
তাকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে যান।
টাঙ্গাইল শহরে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা একত্রে কয়েক মাস বসবাসও করেন।
পরবর্তীতে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে মনজুর হোসেন তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২১ জুন ওই কলেজছাত্রী আদালতে মামলা করেন।
আরো পড়ুন – বাসাইলের সেই ইউএনও’কে ধর্ষণের অভিযোগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলি
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৪৯৩ ধারায় (বিবাহের বিশ্বাসে প্ররোচিত করে স্বামী-স্ত্রী রূপে সহবাস) অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
মনজুর হোসেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার চরঝিকড়ী গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।
বর্তমানে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি হিসেবে সংযুক্ত আছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার