নিজস্ব প্রতিবেদক : সরকার নির্ধারিত ফি মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে টাঙ্গাইলে পুলিশের চাকরি পেয়েছেন ১৩৮ জন তরুণ-তরুণী।
তার মধ্যে পুরুষ সদস্য রয়েছে ১২২ জন ও নারী সদস্য রয়েছে ১৬ জন।
বুধবার (১৫ মার্চ) রাতে পুলিশ লাইন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন টাঙ্গাইলের জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
পরে তিনি সবাইকে নিজ হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সকলকে মিষ্টি মুখ করান।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল নিয়োগ পাওয়ার জন্য জেলায় ৪ হাজার ৭০৬ জন আবেদন করেন।
আর এদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা দিয়েছেন ৯৩২ জন। আর লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হয় ২০১ জন।
এরমধ্য থেকে চুলচেরা বিশ্লেষণ এবং বিভিন্নভাবে যাচাই-বাছাই করে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্ত করা হয় ১৩৮ জনের নাম।
তার মধ্যে ১২২ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী। নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে বেশি কৃষক, দিনমজুরসহ হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রয়েছে।
১৬ নারীর মধ্যে জেলার দেলদুয়ার উপজেলার নাল্লা পাড়া এলাকার রবি খানের মেয়ে রুপা আক্তার বলেন, আমি ২০২২ সালে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করেছি।
আমি গরিব পরিবারের মেয়ে। অনেক কষ্টে লেখাপড়া করেছি ৷ চাকরি পেয়ে আমি অনেক খুশি।
আমি কখনই কল্পনাই করতেই পারিনি যে ১২০ টাকায় চাকরি পাব। আমার এ চাকরিটি খুব দরকার ছিল।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ করার লক্ষ্যে মাননীয় আইজিপি মহোদয়ের উদ্যোগে সম্পূর্ণ নতুন নিয়মে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষাটি সম্পন্ন হয়েছে।
আমরা টাঙ্গাইল জেলাবাসীকে কথা দিয়ে ছিলাম একটি স্বচ্ছ ও সুন্দর নিয়োগ উপহার দেওয়ার, আমরা আমাদের কথা রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হয় তারা সম্পূর্ণ তদবিরবিহীন, প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত।
এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে চাই। এছাড়া পুলিশ জনগণের বন্ধু এবং পুলিশ সব সময় জনগণের স্বার্থে কাজ করে আসছে।