কালিহাতী প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বালুবাহী ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
বাঁধ রক্ষায় বালুবাহী ট্রাক চলাচল বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে নিয়মিত ড্রামট্রাক দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।
এতে হুমকির মুখে পড়েছে সিপিপি’র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা বার বার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোন সুফল পায়নি।
আরো পড়ুন – কারাগারে অসুস্থ বড় মনিরকে হাসপাতালে স্থানান্তর
বুধবার (১৭ মে) নিজস্ব ভূমির উপর দিয়ে বালু পরিবহনে বাঁধা দেওয়ায় আব্দুল কদ্দুছের ছেলে শরিফের সাথে বালু ব্যবসায়ী হাবিল ও তার সহযোগীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ভূক্তভোগী শরিফ জানায়, বালু ব্যবসায়ীরা মহেলা-পৌলী দক্ষিণ পাড় রেল সেতুর পূর্ব পার্শ্বে নদী থেকে উত্তোলিত বালু ড্রামট্রাক দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে।
বালুবাহী ড্রামট্রাক পৌলী-মহেলা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে এলেঙ্গা, কালিহাতী ও টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে।
বাঁধের ওপর দিয়ে অবাধে বালুবাহী ড্রামট্রাক চলাচল করায় হুমকিতে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ।
দুর্ঘটনার শঙ্কায় রয়েছে স্কুলগামী শিক্ষাথীরা।
রাস্তার পাশের বসতির খাবার, কাপড় চোপরে ধুলোর প্রলেপ পরে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে, বাড়ছে ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ।
গত ৯ মার্চ বালুবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মহেলা আদর্শ গ্রামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে বালু ব্যবসায়ীরা তার উপরে ক্ষীপ্ত হয়।
আরো পড়ুন – ষড়যন্ত্র করলে আগুন জ্বলবে : এমপি ছোট মনিরের হুঁশিয়ারি
বালু ব্যবসায়ী হাবেল উদ্দিন জানায়, তারা সরকারি নিলামকৃত ১৫ নং লটের ১, ২ ও ৩ নং স্তুপের বালু আবদুল মোনেম লিমিটেডের কাছ থেকে ক্রয় করেছেন।
ওই বালু অপসারণে স্থানীয় শরিফ হোসেন বাঁধা দেয়। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
কালিহাতী থানার এসআই রাজু জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছেন।
তারা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে জানান। সম্পাদনা – অলক কুমার