টাঙ্গাইলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার আরো বেড়েছে। গত সাতদিনে পজিটিভ হয়েছে ১০৬টি। এর আগে ১০০টি পজিটিভ হয়েছিল ৯ দিনে। আরো ২ দিন কমেছে। সংক্রমনের এই উর্ধ্বগতিতে আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন জেলার সতেচন মহল। টাঙ্গাইলকে পরিপূর্ণ কঠোর লকডাউনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
টাঙ্গাইলে প্রথম আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ০৮ মার্চ। সেই দিন থেকে ৭৯তম দিনে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা একশ’তে পৌঁছায়। আর তার ১০ দিন পর অর্থাৎ ৫ জুন জেলার আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ’ পেরিয়ে হয় ২১৯ জনে। আর তার ৮ দিন পর অর্থাৎ ১৪ জুন জেলার আক্রান্তের সংখ্যা হয় ৩১৯ জন। এরপরের ৭ দিনে পজিটিভ হয় আরো ১০৬ জন। এ নিয়ে টাঙ্গাইলে মোট পজিটিভ ৪২৫টি। এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত টাঙ্গাইলবাসী।
রোববার (২১ জুন) তারিখ পর্যন্ত জেলার মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ৪২৫ জন। এর মধ্যে মির্জাপুর ১১৩, সদর ৬৮, নাগরপুর ৩৬, কালিহাতী ৩৪, মধুপুর ২৯, দেলদুয়ার ২৯, ধনবাড়ী ২৩, ঘাটাইল ২১, গোপালপুর ২৫, ভূঞাপুর ২২, সখিপুর ১৬ এবং বাসাইল ৯ জন আক্রান্ত।
দিন দিন সংক্রমণের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদসহ টাঙ্গাইলের সুশীল সমাজ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
অপরদিকে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহীদুজ্জামান বলছেন যে, টাঙ্গাইলে সংক্রমনের হার কিছুটা উদ্বেগজনক। তবে এই গতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সংক্রমনের উর্ধ্বগতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জেলার প্রশাসনিক, রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক ও সুশিল সমাজের নেতৃবৃন্দদের সাথে আলোচনা করে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে টাঙ্গাইলকে ইয়োলো ও গ্রিন দুটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮টি উপজেলা ইয়োলো ও ৪টি উপজেলা গ্রিন জোনে আছে। এসময় তিনি আরো জানান, টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিন এসেছে। এ সপ্তাহ থেকেই টাঙ্গাইলে করোনার পরীক্ষা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।