টাঙ্গাইলে চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যাংকারসহ আক্রান্ত ২৬; মৃত্যু ১

টাঙ্গাইলে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলায় নতুন করে আরো ২৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪২৫ জনে। আর মোট মৃতের সংখ্যা হলো ১০ জন।

নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬ জন, সখীপুর ১ জন, মির্জাপুর ৩ জন, বাসাইলে ১ জন, কালিহাতী ২, নাগরপুরে ৩ জন, ধনবাড়ি ১, ভ‚ঞাপুর ৩, দেলদুয়ার ১, গোপালপুর ৪ এবং মধুপুর উপজেলায় ১ জন রয়েছে।

রোববার সকালে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ঢাকায় প্রেরিত নমুনার ফলাফলের মধ্যে রোববার (২১ জুন) সকালে নতুন করে ২৬ জনের পজেটিভ আসে। এখন পর্যন্ত মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়, আর সুস্থ হয় ১৪৮ জন।

রোববার (২১ জুন) তারিখ পর্যন্ত জেলার মোট করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ৪২৫ জন। এর মধ্যে মির্জাপুর ১১৩, সদর ৬৮, নাগরপুর ৩৬, কালিহাতী ৩৪, মধুপুর ২৯, দেলদুয়ার ২৯, ধনবাড়ী ২৩, ঘাটাইল ২১, গোপালপুর ২৫, ভূঞাপুর ২২, সখিপুর ১৬ এবং বাসাইল ৯ জন আক্রান্ত।

নতুন আক্রান্তদের নাগরপুরে ১ জন নারী চিকিৎসক রয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। এছাড়া একই উপজেলায় স্বামী-স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের উপসর্গ থাকায় তারা নমুনা দেন। পরে নমুনার ফলাফলে তার পজেটিভ আসে।

অপরদিকে দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন। তার করোনা উপসর্গ থাকায় তিনি নমুনা দেন। পরে নমুনার ফলাফলে তার পজেটিভ আসে।

এছাড়া কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা শাখার ইসলামী ব্যাংকের ২ জন ব্যাংকার করোনায় আক্রান্ত হন। উপসর্গ থাকায় তারা নমুনা হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে যান।

অন্যদিকে মধুপুর উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির পজিটিভ এসেছে। তিনি উপসর্গ নিয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১৬ জুন উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনার ফলাফল আসার আগেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে নমুনার ফলাফলে তার পজেটিভ আসে।